রিয়াজ উদ্দিন ,পেকুয়া :

পেকুয়ায় ভাসুর কুপিয়ে জখম করল ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে। স্থানীয়রা ওই নারীকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ধারালো কিরিচের আঘাতে ওই গৃহবধূর ডান হাতের দুটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুনঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জখমী গৃহবধূর নাম নছুমা খাতুন (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের দরিদ্র নাছির উদ্দিনের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী লেদু মিয়ার স্ত্রী রওশন আরা, জামাল উদ্দিনের স্ত্রী নাজমুন্নাহার, ছৈয়দ আহমদের ছেলে সাহাব উদ্দিনসহ আরও লোকজন জানায়, পৈত্রিক বসতভিটার জায়গা নিয়ে মফজল মিয়ার ছেলে নাছির উদ্দিন ও নেজাম উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। স্থানীয় সালিশ মিমাংসায় মফজল আহমদের বসতভিটার অংশ ৩ ভাইয়ের অনুকুলে পরিমাপসহ সমবন্টন করে। নাছির উদ্দিন তার প্রাপ্ত অংশে মাটি ভরাট কাজ করছিলেন। এ সময় বড় ভাই নেজাম উদ্দিন ধারালো কিরিচ নিয়ে ধেয়ে এসে নাছির উদ্দিনের ছেলে সেকান্দরকে লক্ষ্য করে কুপ দিয়ে প্রাণনাশ চেষ্টা চালায়। সেকান্দরের মা নছুমা খাতুন হাত দিয়ে ভাসুরের কিরিচের কুপ লক্ষ্যভ্রষ্ট করে। এ সময় ওই মহিলার ডানহাতের দু’টি আঙ্গুল কিরিচের কুপে বিচ্ছিন্ন হয়। তারা আরো জানায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজামাল ও আ’লীগ নেতা আবু তৈয়বসহ স্থানীয়রা বসতভিটার বিষয়টি মিটমাট করে দেয়। কিন্তু নেজাম উদ্দিন এরপরও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার এস,আই ইয়াকুবুল ইসলাম পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানায়, পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।