সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর জরুরী সভায় বক্তাগণ বলেছেন, ১৪ ডিসেম্বর বাংলার সূর্যসন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক, লেখক, সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ নানা পেশাজীবী। দেশকে মেধাশূন্য করতেই মূলতঃ পৈশাচিক পরিকল্পনা নেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ইতিহাসের ঘৃণিত এই ঘটনার মাধ্যমে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোন দিন পূরণ হবার নয়।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে শহরের একটি আবাসিক হোটেলের কনফারেন্স হলে ইউনিয়নের সভাপতি মুহম্মদ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তাগণ আরো বলেন, পেশিশক্তির মাধ্যমে দৈনিক সংগ্রামের মতো একটি প্রাচীন পত্রিকাকে বন্ধ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। তার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পত্রিকা অফিসে ঢুকে রাতের অন্ধকারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদি কায়দায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে সম্পাদক ও প্রবীন বুদ্ধিজীবী আবুল আসাদকে। পরে পুলিশে সোপর্দ করলেও রেহাই পায়নি এই প্রবীন সম্পাদক। তাকে অন্যায়ভাবে পুলিশ গ্রেফতার করে আইসিটি এ্যাক্টে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। শুধু তায় নয়, এই জঘন্য মামলায় আসামী করা হয়েছে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজির মতো দেশের একজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিককে।

সভায় বক্তারা ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। বক্তাগণ রুহুল আমিন গাজির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানান।

সভায় বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমান, সাবেক সভাপতি বদিউল আলম, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এসএম আমিনুল হক চৌধুরী।

ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক নেতা জিএএম আশেক উল্লাহ, নুরুল ইসলাম হেলালী, মমতাজ উদ্দিন বাহারী, ইকরাম চৌধুরী টিপু, কামাল হোসেন আজাদ, মোহাম্মদ হাসিম, রুহুল কাদের বাবুল, এমআর মাহবুব, মোহাম্মদ আনছার উদ্দিন, মোস্তফা সরওয়ার, ইমাম খাইর, ইব্রাহিম খলিল মামুন, হুমায়ুন সিকদার, জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী, ইসলাম মাহমুদ, আজাদ মনসুর, মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদ, এম বেদারুল আলম, ছৈয়দ আলম, জিয়াউল করিম, মুহাম্মদ ছলিম উল্লাহ সুজন, মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী, মো. আবদুর রহমান, এরফানুল হক আফনান, আতিকুর রহমান মানিক।