রামু সংবাদদাতা:

ব্যস্ততম রামু-কক্সবাজার মহাসড়কটিতে যানবাহন চলাচলের কারণে অতিরিক্ত ধুলাবালি উড়ছে। এতে রাস্তায় চলাচলরত শিক্ষার্থী, যাত্রী ও পথচারীরা চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। মুখে মাক্স,রুমাল ব্যবহার করেও সস্তি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

রামু বাইপাস ফুটবল চত্বর থেকে শুরু করে কলঘর-চাকমারকুল পর্যন্ত এবং খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধেছুয়াপালং থেকে লিংকরোড় পর্যন্ত মহাসড়কটি যেনো ধুলোর রাজ্য। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী, যাত্রী,পথচারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, রামু এবং খুনিয়াপালংসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্টান কলেজ,প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব পড়ছে। যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও বালুবাহী ড্রামট্রাক ও ভারি যানবাহনগুলো চলাচলের কারণে পুরোসড়কে কুয়াশার মতো ধুলা উড়তে দেখা গেছে। এ দৃশ্য দেখে মনে হয় এ যেন কুয়াশাছন্ন শীতের সকাল।

অতিরিক্ত ধুলার কারণে ওই রাস্তায় অটো, রিকশা,বাস, মোটরসাইকেল যাত্রীসহ পথচারীরা দুর্ভোগ শিকারের পাশাপাশি তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।

সিএনজি চালক গফুর বলেন, ‘ধুলোবালির কারনে রাস্তায় সামনের গাড়িগুলোও সহজে দেখা যায়না, এতে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
পথচারি সমরাট বলেন, রেললাইনের কাজে যে সমস্ত বালি ব্যবহার হচ্ছে তা মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কামখেয়ালিপনার কারণে রাস্তায় ধুলাবালিময় হয়ে পড়েছে।’

কয়েকজন রেস্তোরাঁ ও ব্যবসায়ীরা জানান, পন্যসামগ্রী, খাবার ঢেকে রেখেও ধুলোবালি থেকে রেহায় পাচ্ছেনা। এতে খাবার ও বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

কলেজ ছাত্র জুনায়েদ বলেন, ‘আগে মানুষ সাধারনত মুখে মাক্স ব্যবহার করতো না,কিন্তু এখন (মাক্স) ব্যবহার করেও সস্তি পাচ্ছি না।
সাধারন লোকদের অভিমত, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং কতৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে নজর দিতেন, তাহলে অতিরিক্ত ধুলাবালি থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যেত।’
প্রচণ্ড গরম ও তাপদাহে পাশাপাশি রাস্তার ধুলাবালি জনজীবন আরো অতিষ্ঠ করে তুলেছে বলে জানান তারা। এ সময় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

চিকিৎসকরা ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ধুলোবালিতে বিভিন্ন রোগের জীবাণু থাকে। কমবয়সী ও বেশি বয়সী লোকজনের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ধুলোবালি মানব শরীরের ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। সব সময় ধুলোবালি বেষ্টিত পরিবেশে থাকলে ফুসফুসে রক্তপ্রবাহ দুর্বল হয়ে পড়ে। সর্দি, কাশি, অ্যালার্জি, টনসিল প্রদাহ, গলাব্যথা, অ্যাজমা বিভিন্ন রোগ হতে পারে।

তারা আরো বলেন,ধুলোবালি থেকে যদি মানুষ রক্ষা পেতো, তাহলে মানুষের আয়ু আরো অনেক বছর বৃদ্ধি পেতো।