নিজস্ব প্রতিবেদক:

হিমছড়ি পেঁচারদ্বীপে বিনার কারণে গভীর রাতে অভিযানের নামে কৃষকের পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে ফেলেছে বনবিভাগের কর্মীরা। পাঁচ বছর আগে রোপিত উপড়ে ফেলা এই এসব গাছের মধ্যে ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ ৫০টি, সুপারি গাছ ৭০টি, মালটা ১১০টি, আম গাছ ১৩০টি এবং তরমুজ গাছ ৫০টি। গত ৫ ডিসেম্বর রাত ১১ থেকে ২ টা পর্যন্ত এক কথিত অভিযানে এসব গাছ উপড়ে ফেলা। এতে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছেন হর্টিকালচারের তালিকাভুক্ত কৃষক মোক্তার আহমদ (৬০)। তিনি ওই এলাকার মরহুম মৌলানা মোজাহের আহমদের পুত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোক্তার আহমদ (৬০) অভিযোগ করে জানান, ওই জমিগুলো ক্রয়মুলে ১৯৯৮ সাল থেকে তার দখলে রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে সেখানে নানা চাষবাস করে আসছেন। পাঁচ বছর আগে সরকারি হর্টিকালচারের পরামর্শে তাদের তালিকাভুক্ত কৃষক হিসেবে ওই জমিতে ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ, সুপারি গাছ, আম গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির স্থায়ী গাছ রোপন করা হয়। গাছগুলো ইতিমধ্যে বড় হয়ে গেছে। এর মধ্যে গত বছর এনজিও আইপ্যাক ও বনবিভাগের লোকজন এসে জমির কাগজ দেখতে চায়। সে মোতাবেক উভয় পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয় এবং বৈঠকে মোকতার আহমদ জমিটিগুলো বৈধ মালিক বলে প্রতীয়মান হয়। এরপর এ যাবত পর্যন্ত আইপ্যাক ও বনবিভাগের লোকজন কিছু বলেনি। কিন্তু আকস্মিক পূর্ব কোনো ঘোষণা বা নোটিশ ছাড়া গভীর রাতে এ্যাপেক ও বনবিভাগের লোকজন গিয়ে গাছগুলো উপড়ে ফেলে। ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ ৫০টি, সুপারি গাছ ৭০টি, মালটা ১১০টি, আম গাছ ১৩০টি এবং তরমুজ গাছ ৫০টি উপড়ে ফেলে। গাছগুলোর অর্থমূল্য অন্তত পাঁচ লাখ টাকা হবে। গাছগুলো উপড়ে ফেলতে সহায়তা করে এনজিও আইপ্যাক কর্মী ফরিদুল আলম, নুর আলম ফকির,আবু তালেবসহ আরো কয়েকজন।

বহু শ্রম এবং অনেক অর্থ ব্যয় করে গাছগুলো রোপন করেছিলেন কৃষক মোকতার আহমদ। এমন কষ্টে গড়া গাছগুলো ধ্বংস করা তিনি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এখন পথে বসা তার কোনো উপায় নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হিমছড়ি বিট অফিসার আবদুল মতিন বলেন, আমরা মোকতার আহামদের জায়গায় যায়নি। আমরা বনবিভাগের জায়গায় উচ্ছেদ করেছি।