প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমীর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী বলেছেন, অপ-ছাত্ররাজনীতির বিষাক্ত হাওয়ায় আজ শিক্ষাঙ্গনে চলছে চরম সঙ্কট ও অস্থিরতা।দূর্বৃত্তায়নের ফলে জ্ঞানার্জনের পরিবেশ আজ বিপন্ন। ইসলাম বিবর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থার আগ্রাসনে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষার্থীদের অনেকেই চরিত্রহীন, খোদাদ্রোহী, সন্ত্রাসী, খুনিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। চরম এ সঙ্কট উত্তরণে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ও কর্মপন্থা অবলম্বন করে শুদ্ধতম ছাত্ররাজনীতির স্বচ্ছধারা বিনির্মাণে ইসলামী ছাত্রসমাজ কাজ করছে। ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের আদর্শিক অভিযাত্রার ৫০ বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস তা-ই প্রমাণ করে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে ইসলামী ছাত্রসমাজ নেতা-কর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংগঠনিক সিলেবাসের সমন্বয়ে জ্ঞানার্জন ও চরিত্র গঠনের মধ্যদিয়ে নিজেদের মানোন্নয়ন করতে হবে।
তিনি দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ কক্সাবাজার জেলা শাখা আয়োজিত সংগঠনটির অর্ধশত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
২৮ নভেম্বর ( বৃহস্পতিবার) বিকাল ৩ টায় সাগরতীরের হোটেল মিশুক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার। তিনি বলেন, অনেক বাধার পাহাড় পেরিয়ে অর্ধশত বছরের সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় এ সংগঠন লক্ষ্যপানে এগিয়ে চলেছে। তাগুতি শক্তির মোকাবিলা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং ইসলামী নেজাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ইসলামী ছাত্রসমাজের বলিষ্ঠ অংশগ্রহন ও সাহসী ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। এ সংগ্রামী ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ করে ইসলামী ছাত্রসমাজ নেতা-কর্মীদের ইসলাম,দেশ ও জাতির কল্যাণে নতুন ইতিহাস রচনা করতে হবে।
জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল -মাসউদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল খালেক নিজামী, নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব ও কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইলিয়াছ খান, ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মনজুরুল কাদের চৌধুরী, সাবেক সংগঠন সচিব মাওলানা আ.হ.ম নুরুল কবির হিলালী, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিব, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আবু তাহের খান, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, নেজামে ইসলাম পার্টির
কেন্দ্রীয় সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব মাওলানা মাহমুদুল হক, সাবেক সংগঠন সচিব মাওলানা বুরহান উদ্দিন আল-রাজী, মুফতি শরীফুর রহমান, পটিয়া পৌরশাখার সাবেক সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান জিহাদী, মাওলানা ওসমান গণি, চট্রগ্রাম মহানগর নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি কারী ফজলুল করিম জিহাদী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুদ্দিন আফতাব।
বিশেষ বক্তা ছিলেন, ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, অর্থ সচিব এহতেশামুল হক সাখী, চট্রগ্রাম মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ ওয়াহিদুল্লাহ।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক নেতা মাওলানা ফরিদুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফী, মাওলানা ডা. মঈন উদ্দিন গাজী, মাওলানা নুরুল আমিন মাদানী, হাফেজ হেলাল উদ্দিন, মাওলানা হাফেজ আবু বকর ছিদ্দিক, সাবেক জেলা সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ সালেম, সাবেক জেলা সহ-সভাপতি মুফতি ইউছুফ মক্কী।
জেলা প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল করিমের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন, জেলা যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জায়নুল আবেদীন, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ অলি উল্লাহ আরজু, রামু উপজেলা সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আতাউল্লাহ, দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুল আলম, উখিয়া উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ মুহিউদ্দিন খান, সদর উপজেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আনিছুর রহমান, মুহাম্মদ রেজাউল করিম, শহর প্রতিনিধি মুহাম্মদ এহসানুল হক, ছাত্রনেতা সিরাজুল মোস্তফা, আতিকুর রহমান, মুহাম্মদ ইয়াছিন, এহসানুল হক, জান্নাতুল্লাহ প্রমুখ।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মাসউদ খান বলেন,
স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা ছাত্রদের মধ্য আদর্শিক নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং সফলকাম ইসলামী বিপ্লব ঘটাবার লক্ষ্যে একদল চরিত্রবান, জ্ঞানী, যোগ্য ও নিবেদিতপ্রাণ সিপাহসালার গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে উপমহাদেশের বিদগ্ধ ওলামা-মশায়েখের ঐকান্তিক প্রয়াসে ১৯৬৯ সালের ৩ রা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের বুনিয়াদ স্থাপিত হয়। ইসলামী ছাত্রসমাজ লোকবল ও অনুষ্ঠান সর্বস্ব তৎপরতা প্রদর্শনীর গতানুগতিক ধারার কোন সংগঠন নয়। এ সংগঠনের রয়েছে গৌরবময় সোনালী অতীত, ঈমানদীপ্ত দর্শন ও আদর্শিক কর্মসূচী। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতা-কর্মীদের একাগ্রতার সাথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিশেষ অতিথি সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, দেড় হাজার বছরের ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে ইসলামী ছাত্রসমাজ এক বলিষ্ঠ সংযোজন। এটি কেবল নামমাত্র সংগঠন নয়; স্বতন্ত্রধারার একটি আদর্শিক পাঠশালা। জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক গণমুখী ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা, স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদকে এম.এ. এর সমমর্যাদা প্রদানসহ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবী আদায়ের আন্দোলনে ইসলামী ছাত্রসমাজের সংগ্রামী অবদান রয়েছে।
শেষে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও মরহুম নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফিরাতসহ দেশ ও জাতির শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।