গত ২৮ নভেম্বর দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত “ অনুপ্রবেশে মরিয়া টেকনাফের ইয়াবা তালিকাভুক্ত মৌলভী রফিক” সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোছর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একই সঙ্গে অপ-সাংবাদিকতার সামিল। কারণ আমি এবং আমার পরিবারের কেউ অনুপ্রবেশকারী নয়। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ ২১ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি ১৯৯৭ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আওতাধীন ২ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু জীবিকার তাগিদে আমি সৌদি আরবে পাড়ি জমাই। দীর্ঘ ১৫ বছর সৌদি আরবে অবস্থান করি। আমার ভাই বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তখন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০১৩ সালে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে আমার ভাই মৌলভী আজিজ উদ্দিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানেও আমার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এখনো উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। আমার বড়ভাই গিয়াস উদ্দিন বাহাদুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আর আমি ২০১৩ সালে দেশে আসার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই। বর্তমানে আমি উপজেলার আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি এবং আমার পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যকোন দলের সাথে সম্পৃক্ত নেই। তারপরও আমাদের অনুপ্রবেশকারী বলাটা হাস্যকর ও অজ্ঞতার শামিল।

সম্প্রতি তৃণমুলের সম্মেলনে আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছি। এ অবস্থায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর সাংবাদিক ভাইরা কোন কিছু যাচাই না করে মনগড়া সংবাদ প্রচার করে সাংবাদিকতার মতো পেশাকে কলংকিত করছে।

আমি এবং আমার পরিবার নিজেদের টাকা ব্যয় করে আওয়ামী লীগের সুনাম রক্ষার চেষ্টা করে আসছি। কখনো চাঁদাবাজি কিংবা মাদকের মতো ঘৃণিত কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। সব সময় মানুষের পাশে ছিলাম বলে এলাকার লোকজন আমাদের ভালবাসে। আর তাদের ভালবাসা পেয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর আমি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং আমার ভাই বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিজ্ঞ সাংবাদিকদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, প্রবাসে থাকা অবস্থায় যে পরিমাণ টাকা উপার্জন করেছি তার সঠিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত ব্যাংকে লেনদেরে সব হিসেব রয়েছে। যদি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে তার সঠিক প্রমাণ পাবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যা দিয়েছেন তা দিয়ে আমাদের সন্তানরাও বাকি জীবন সুন্দরভাবে অতিবাহিত করতে পারবে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি ‘ আমার বিরুদ্ধে যেসব সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা প্রমাণ করতে পারলে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবো। অহেতুক আমাদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে সামাজিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে। তাই বলে মিথ্যাচার কখনো কারো জন্য শুভ হতে পারে না।

তাই আমি সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করবো যথেষ্ট যাচাই বাছাই করে তথ্য প্রমাণ নিয়ে সংবাদ প্রচার করুন। অন্যথায় আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো। একই সাথে প্রকাশিত সংবাদের তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী

মৌলভী মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন

শামলাপুর, টেকনাফ।

 

সিবিএন/বিজ্ঞাপন