মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মহেশখালী উপজেলায় জমি বেচাকেনা দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। মহেশখালীর ইউনিয়ন পরিষদ সমুহ জমি বেচা কেনার ট্যাক্স থেকে আনুপাতিক হারে যে রাজস্ব আগে পেতো, তা এখন পাচ্ছেনা। ফলে জমি রেজিষ্ট্রেশন খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আগে বিভিন্ন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের যে প্রক্রিয়া ছিলো, তা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে মেগা প্রকল্প গুলোর উন্নয়ন হলেও পল্লী অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছেনা। এজন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহেশখালী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানেরা এমন অভিযোগ তুলেছেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত Moheskhali Matarbari Integrated Infrastructure Development Initiative -MIDI সংক্রান্ত উন্নয়ন সভায়। রেজিষ্ট্রেশন খাতের রাজস্ব না পাওয়ায় মহেশখালীর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিকল্প ফান্ডের ব্যবস্থা করতে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার ২৭ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক বিভাগ) বাবুল চন্দ্র বণিক, কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল, মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, সরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ধলঘাটায় এসপিএম পাইপ লাইনের জন্য যে রাস্তা এবং জেটি নির্মান করা হয়েছে, সেগুলো যাতে স্থায়ী হিসাবে থাকে তার জন্য প্রয়জোনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সভায় মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৪ একর জমির শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ অধিকাংশ প্রদান করা হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়। বাকি শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত প্রদান করা হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত শ্রমিকগণ তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য এখনো আবেদন করেননি তাদেরকেও আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, শ্রমিকদের চেক গ্রহণের জন্য কাগজপত্রে কোনরকম জমির মালিকের প্রত্যায়ন এবং চেকের কপি প্রদান করতে হবে না এবং শ্রমিকের টাকা সরাসরি শ্রমিকের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে চলে যাবে।

ধলঘাটায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জমির উপর বসবাসকারী উচ্ছেদকৃত ১৭ পরিবারের পুর্ণবাসন ধলঘাটার মাটিতেই যাতে হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধলঘাটা, মাতারবাড়ী, কুতুবদিয়া এই সব এলাকার জন্য টেন্ডার হওয়া বেড়ীবাঁধ নির্মাণের কাজ এখন বন্ধ রয়েছে। সভায় খুব দ্রুত টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাগদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।