সিবিএন:
তালিকাভুক্ত নদী দখলকারী হওয়ায় মহেশখালীর শাপলাপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আবদুল খালেক চেয়ারম্যানকে অযোগ্য ঘোষনা করেছে উচ্চ আদালত। আজ সকাল ১১টায় শাপলাপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরুল হকের দায়ের করা রীটের শুনানী শেষে আবদুল খালেককে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। উচ্চ আদালতের এনেক্স কোট ২১ এর বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলুরুজ্জামানের গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। নূরুল হকের আইনজীবি জগলুল হায়দার আফ্রিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবি জগলুল হায়দার আফ্রিক জানান, তালিকাভুক্ত নদী দখলকারীদের ইতিমধ্যে সব ধরণের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করে উচ্চ আদালত। আবদুল খালেকও একজন তালিকাভুক্ত নদী দখলকারী। তারপরও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শাপলাপুরের নির্বাচনে তাকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এতে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করায় নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী আবদুল খালেকের প্রার্থীতা বাতিলের জন্য রীট পিটিশন দায়ের করেন শাপলাপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরুল হক। এই রীটের জন্য বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার বদিউজ্জামানের গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ আজ ২৭ নভেম্বর শুনানী করেন। শুনানীতে তালিকাভুক্ত নদী দখলকারী হওয়ায় আবদুল খালেককে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, আগামী ১২ ডিসেম্বর শাপলাপুর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে গত ২৫ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। এতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বৈধ প্রার্থী ঘোষিত সাবেক তিনবারের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী, বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুল হক ও আলোচিত প্রার্থী নাম করা সাংবাদিক সালাহ উদ্দীন কমলসহ ১৬জনকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু এর আগেই নদী দখলকারী হওয়ায় আবদুল খালেক চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রীট দায়ের করেছিলেন নূরুল হক।