বিবিসি বাংলা:

বাংলাদেশে বহুল আলোচিত হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার রায় আজ ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এই রায় ঘোষণা করবেন।

তিন বছর আগে ২০১৬ সালের ১লা জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে ওই অভিজাত বেকারিতে জঙ্গিদের হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হয়।

এসময় তাদের গুলিতে দুজন পুলিশ সদস্যও নিহত হয়। পরে সৈন্যদের কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচজন জঙ্গিও। হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনা সারাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।

হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার দুই বছর পর ২০১৮ সালের ২৩শে জুলাই আট জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ।

বিজিবি এবং পুলিশসেনা অভিযানের সময় বাইরে অন্য বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান ছিল।
ঘটনার রাতে হামলাকারীদের এই ছবি প্রকাশ করেছিলো আইএসঘটনার রাতে হামলাকারীদের এই ছবি প্রকাশ করেছিলো আইএস
কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে জিম্মিদশার ইতি হয়।কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে জিম্মিদশার ইতি হয়।

মামলার তদন্তে ঘটনার সাথে মোট একুশ জন জড়িত ছিল বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ এবং এর মধ্যে ঘটনার দিন ও পরে ১৩ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে।

এ ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও তাদের মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হলে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।

তবে এতে হামলার ঘটনার পর আটক হওয়া ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

২৬শে নভেম্বর অভিযোগপত্র গঠন করে আদালত।

এরপর মামলার শুনানি শুরু হয়। এ পর্যন্ত মামলায় মোট ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তৈরি করা ওই ঘটনায় জঙ্গিরা ওই রাতে ২০ জনকে হত্যা করে যাদের ৯ জন ইতালি, ৭ জন জাপান, ৩ জন বাংলাদেশী এবং ১ জন ভারতীয় নাগরিক।

এছাড়া সন্ত্রাসীদের হামলায় দুজন পুলিশও প্রাণ হারায়।

পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী ৫জনও প্রাণ হারায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরো একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়; যাকে পরবর্তীতে রেস্টুরেন্টের কর্মচারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। এরা শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।