বিশেষ প্রতিবেদকঃ
মহেশখালী দ্বীপের বহুল আলোচিত ইউনিয়ন কালারমারছড়া। এর আগে কখনো এই ইউনিয়নে কোনো মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আসেননি। তাও আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে এলাকাটিতে এক কিলোমিটার রাস্তায় ২ শতাধিক তোরণ নির্মাণ করে যেন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করা হয়েছে।
তবে তাঁর বড় পরিচয় তিনি একাত্তরের রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এমনভাবে কথাগুলো বললেন, মহেশখালী দ্বীপের কালারমারছড়া বাজারের গ্রাম ডা. তপন কান্তি শীল।
শনিবার মহেশখালী দ্বীপের জলদস্যু আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল উপস্থিত ছিলেন।
তার আগমন উপলক্ষে নানা বর্ণিল তোরণ দিয়ে সাঁজানো হয়েছে ইউনিয়নের প্রধান সড়কটি। এমনকি সড়কটির প্রতি ১৫ ফুট পর পর তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
তোরণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হয়।
শহীদ পরিবারের সন্তান ও স্থানীয় কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফের ছবি ছিল তোরণে তোরণে।
ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, তিনি নিজ খরচে তোরণ নির্মাণ করেছেন মাত্র ২টি। অন্যান্য তোরণগুলো নির্মাণ করেছেন এলাকার লোকজন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ ছিদ্দিক আহমদ জানান, কালারমার ছড়ায় এই প্রথম একজন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আসবেন, তাও আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন খবরে পুরো ইউনিয়নবাসী উৎসুক হয়ে উঠে। আর তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণে জেলার প্রথম শহীদ মোহাম্মদ শরীফ চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যরা তাকে বরণ করতে ও সম্মান জানাতে নানাভাবে সাঁজিয়ে তুলেন পুরো ইউনিয়নকে।
প্রতি এক কিলোমিটারে প্রায় ২০০ তোরণ করা হয়েছে। যা প্রতি ১৫ ফুট পর পর একটি করে তোরণ দেওয়া হয়। এতে করে পুরো ইউনিয়নটি উৎসবের আমেজে পরিণত হয়। শনিবার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যাওয়া সকল পর্যায়ের অতিথিরা তোরণে সৌন্দর্য্য উপভোগ করেছেন। অনেকে মন্তব্য করেন দেশের আর কোনো অনুষ্ঠানে একসঙ্গে এত তোরণ দেখা যায়নি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৫৫ টি অস্ত্র, ২৭৫ টি গুলিসহ সাগর উপকূলের ১২ বাহিনীর ৯৬ সদস্য আত্মসমর্পণ করে। সেখান শীর্ষস্থানীয় ১২ জন অস্ত্র তৈরীর কারিগরও রয়েছে।
যেটি মধ্যস্থতা করেছেন সাংবাদিক এমএম আকরাম হোসাইন।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কক্সবাজার -১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।