সিবিএন ডেস্ক:
এক অন্ধকার যুগে শেরেবাংলা জন্মগ্রহণ করেছিলেন আলোক শিখা হিসেবে বলে মন্তব্য করে বিচারপতি বিচাপতি মীর হাসমত আলী বলেন, তিনি হচ্ছেন গণতন্ত্রের একটি মডেল। দেশপ্রেম ও রাজনীতির জন্য তিনি আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর কাটাবনের চিংড়ি চাইনিজে শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষনা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও গুনিজন সন্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেরে বাংলা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত হবেন। শেরে বাংলা গণতন্ত্রের মহান নেতা ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি গণতন্ত্রের একটি মডেল।

তিনি বলেন, শেরে বাংলা হচ্ছেন আমাদের জাতীয় অহংকার। বৃটিশ মুক্ত স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠায়, এ অঞ্চলের অবহেলিত কৃষকের মুক্তি ও নির্যাতিত মুসলমানদের অধিকার আদায়ে তার অবদান সমগ্র জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

তিনি আরো বলেন, অবিসংবাদিত জাতীয় নেতা শেরে বাংলা একে ফজলুল হক বৃটিশ সরকারের শাসন শোষণের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন জাতি চিরদিন তাকে স্মরণ করবে। তিনি কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের পক্ষে লড়াই সংগ্রাম করে দাবি আদায় করেছিলেন।

সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোরশেদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ইবাইস ইউনিভারসিটির উপাচার্য্য প্রফের মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, ভাষা সৈনিক লায়ন শামসুল হুদা, ভাষা সৈনিক আবদুল জলিল, এডভোকেট আবিদা আনজুম মিতা এমপি, অর্থমন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সাদী-উজ-জামান, এডভোকেট ছেরনিয়াবাদ সকান্দার আলী, সৈয়দ আবদুল লতিফ, এশিয়া স্বপ্নপুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ জে আলমগীর, সংগঠনের মহাসচিব আর কে রিপন, মাদার তেরেসা স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. আওলাদ হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শেরে বাংলা স্মৃতি পদকে ভূষিত হন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখা-সহ ১৫ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ও সংগঠন। জাতীয় মানবাধিকার সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখা পক্ষে পদক গ্রহন করেন জেলা সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া।