মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্তরা সবাই উপজেলা সদর ইউনিয়নের খুইল্যা মিয়া পাড়া ও পাশের মার্মা পাড়ার বাসিন্দা। দিনের পর দিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতংক বিরাজ করছে পাড়াবাসীর মধ্যে। আক্রান্ত অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
খুইল্যা মিয়া পাড়ার সর্দার ফরিদুল আলম জানান, গত মাসের শেষ সপ্তাহে খুইল্যা মিয়া পাড়া সংলগ্ন মার্মার বাসিন্দা উচাপ্রং মার্মা ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে তিনি সুস্থ হওয়ার পর দুই পাড়ার লোকজনের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের লক্ষণ দেখা দেয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শহরের জনসেবা প্যাথলজি থেকে রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়। আক্রান্তদের অনেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তবে শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে কেউ মারা যায়নি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত খুইল্যা মিয়া পাড়ার হাজী ইসহাক আহমদ, সুরত আলম, রোজিনা বেগম, মনির আহমদ, হাছিনা বেগম, মমতাজ বেগম, নাজমুন নাহার, মালেকা আক্তার, রুপসী মনি, সুমাইয়া জান্নাত, সাহিদা জান্নাত, আশ্রাফুল ইসলাসহ ২৬জন ও মার্মার পাড়ার ১০-১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
ডেঙ্গু আক্রান্তের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শহিদুর রহমান জানান, গত বুধবার খুইল্যা মিয়া পাড়ায় একটি মেডিকেল টীম ভিজিট করে পাড়ার আশেপাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাড়ায় স্প্রে করা প্রয়োজন। হাসপাতালে স্প্রে মেশিন থাকলেও ওষুধ নেই।
তিনি বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওষুধ কিনে দেওয়া হলে হাসপাতাল থেকে স্প্রে করানোর ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালের প্যাথলজিতে অভীজ্ঞ টেকনোলজিস্ট রয়েছেন। আক্রান্তরা যাথে প্রথমেই সরকারি হাসপাতালেই রক্ত পরীক্ষা করান সে পরমর্শ দেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মো. সায়েদ ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, আমি শুক্রবার বিকেলে মেডিকেল টীম নিয়ে খুইল্যা মিয়া পাড়া পরিদর্শনে যাবো। ডেঙ্গু সম্পর্কে পাড়াবাসীদের মধ্যে সচেতনতামূলক সভা করবো।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।