বার্তা পরিবেশক:

আপত্তি নিষ্পত্তি না করেই অসহায় কৃষকের জমি প্রভাবশালী ভূমিদস্যুকে নামজারি খতিয়ান করে দেয়ার পায়ঁতারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে। একদিকে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু অন্যদিকে খোদ ভুমি অফিসের লোকজন ওই কৃষককে হয়রাণী করছে বলেও অভিযোগ করেন। মমতাজ আহমদ নামের ওই কৃষক কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের গাজীর ডেইল এলাকার মৃত মোহাম্মদ মুসলিমের পুত্র।

তিনি অভিযোগ করে জানান, ভুয়া দলিল সৃজন করে সমন গোপন করে এক তরফা রায়-ডিক্রী নেয়া ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর কাশেমের পক্ষ নিয়েছে কানুনগো ও সার্ভেয়ার। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় জমির নামজারি খতিয়ান করে দেয়ার পায়ঁতারা করছে কানুনগো ও সার্ভেয়ার। এমনকি আদালতের মামলার সংবাদ সংযুক্ত করে দুই দফা লিখিত আপত্তি দেয়া হলেও আপত্তি এবং অভিযোগের কোন নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না।

তিনি অভিযোগ করে আরও জানান, তার পিতা মোঃ মুসলিমের নামে কক্সবাজার মৌজার বি.এস ৯৬৪ নং খতিয়ান চূড়ান্ত প্রচার রয়েছে। ওই খতিয়ান থেকে সৃজিত বি.এস ২৪৯৬ নং খতিয়ানের ২.৪৬৭৫ একর জমিতে ওয়ারিশ সূত্রে তারা যুগ যুগ ধরে ভোগদখলে রয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের পুত্র জাহাঙ্গীর কাশেম ভুয়া দলিল সৃজন করে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতকে বিভ্রান্ত করে সমন গোপনের মাধ্যমে একটি একতরফা রায়-ডিক্রী নিয়ে গোপনে ভূমি অফিসের মাধ্যমে তিনি নামজারি খতিয়ান সৃজনের চেষ্টা চালান।

ঘটনা জানতে পেরে জমির মালিক মমতাজ আহমদ এক তরফা রায়-ডিক্রী বাতিলের জন্য আদালতে মামলা করেন। বিষয়টি অবহিত করে জাহাঙ্গীর কাশেমের নামে কোন নামজারি খতিয়ান সৃজন না করার জন্য কক্সবাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত আবেদন জানান। কিন্তু এরপরও ভূমি অফিসের কানুনগো বসন্ত কুমার চাকমা ও সার্ভেয়ার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রভাবশালী ভুমিদস্যু জাহাঙ্গীর কাশেমের পক্ষ নিয়ে তার নামে খতিয়ান সৃজনের চেষ্টা চালান। যার কারণে ভুক্তভোগীর দেয়া আপত্তি নিষ্পত্তি না করেই ফেলে রাখেন। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী কৃষক মমতাজ আহমদ কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে সিভিল রিভিশন মামলা দায়ের করেন।

একই সাথে বিচারাধীন ওই মামলার আদালতের সংবাদ সংযুক্ত করে কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবরে আবারও আপত্তি দাখিল করেন। তাতে ভূক্তভোগী আদালতে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জমির নামজারিসহ অপরাপর কার্যক্রম বন্ধ রাখার আবেদন জানান। দফায় দফায় আপত্তি দাখিল করা হলেও প্রভাবশালী ভূমিদস্যুকে নামজারি খতিয়ান করে দিতে কানুনগো ও সার্ভেয়ার কৌশলে মিচ মামলা করিয়ে খতিয়ান সৃজনের অপচেষ্টা করছেন। জমিতে ভূক্তভোগী কৃষক মমতাজ আহমদ যুগ যুগ ধরে দখলে থাকলেও কানুনগো এবং সার্ভেয়ার যোগসাজস করে মিথ্যা প্রতিবেদনও তৈরী করেছেন। এ অবস্থায় একদিকে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু অন্যদিকে খোদ ভুমি অফিসের লোকজনের হয়রানীতে অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষক মমতাজ আহমদ। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে কৃষক মমতাজ আহমদ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।