প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজারের স্বনামধন্য মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মিডওয়াইফ ‘ওপেন স্কুল ডে’ পালন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) হোপ হসপিটাল মিলনায়তনে এই ‘ওপেন স্কুল ডে’ অনুষ্ঠিত হয়।

হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা ইয়াছমিন আকতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিজবাহ উদ্দীন আহমেদ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হোপ ফাউন্ডেশনের চীফ মেডিকেল অফিসার ইসমাইল ইদ্রিস, হোপ হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট নৃম্নয় বিশ্বাস, হোফ ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর রাকিবুল হক ও মিডওয়াইফারি কোর্স কো-অর্ডিনেটর শারমিন নেছা। সার্বিক সহযোগিতা করেন প্রকল্পের এডমিন এন্ড ফিন্যান্স শামীম রেজা খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিজবাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সবচেয়ে কঠিন আবার সহজতর কাজ হচ্ছে নিরাপদ সন্তান ডেলিভারি করানো। এই কাজটি করেন মিডওয়াইফরা। মিডওয়াইফদের দক্ষ ও আন্তরিকতা পূর্ণ সেবার মাধ্যমেই একজন মায়ের নিরাপদ ডেলিভারি সম্ভব হয়। এভাবে মিডওয়াইফরা গড়ে তুলছে একটি নিরাপদ মাতৃত্বের বাংলাদেশ। তবে পুরোপুরি সাফল্য অর্জন এখনো সম্ভব হয়নি। এ কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য খাতের সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার ফেলেও মাতৃস্বাস্থ্যে জন্য পায়নি। অথচ নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি আন্তরিক। সে কারণে এই খাতে বরাদ্দও বেশি দিচ্ছে। এই দায়বোধ ধরে থেকে আরো ভালো কাজ করে মাতৃস্বাস্থ্যের মাইলফলক তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাইয়ে দিতে হবে।’

হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান বলেন, ‘নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য হোপ ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাক যৌথভাবে কাজ করে কক্সবাজারে মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে মিডওয়াফ কোর্স চালু করেছে। এই কোর্স থেকে ইতিমধ্যে অনেক মিডওয়াইফ বের হয়ে নিরাপদ ডেলিভারি কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তারা তাদের দক্ষ ও আন্তরিকতাপূর্ণ সেবার মাধ্যমে নিরাপদ মাতৃত্বে অবদান রাখছে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হোপ ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে ডেভলপলিং মিডওয়াইভস প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে কারিগরি সহযোগিতা করেন ক ব্র্যাক এবং আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছেন ব্রিটিশ সরকার।

আরো জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, ২০১৫ সালের মধ্যে ৩০০০ মিডওয়াইফ তৈরি করবেন। সে মোতাবেক বর্তমানে বাংলাদেশ ৩৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ১৭ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তিন বছরের ডিপ্লেমা প্রোগ্রামটি পরিচালনা করছেন। তার মধ্যে হোপ ফাউন্ডেশন অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। হোপ ফাউন্ডেশন ২০১২ সালে ৩০ জন ছাত্রী নিয়ে মিডওয়াইফারি কোর্স শুরু করেছিলো। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত ৫৮ জন ছাত্রী সঠিকভাবে ফলাফল করে ২৬ জন সরকারি এবং ৩২ জন বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সফলভাবে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তাছাড়া তৃতীয় বর্ষের ২০ জন ছাত্রী সরকারি পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছেন। বর্তমানে ৫৩ জন ছাত্রী অধ্যায়নরত আছেন। ১৩১ জন মেয়ের ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে হোপ কাজ করে যাচ্ছে এখন আরো ৩০ জন ছাত্র ভর্তি করানোর জন্য কার্যক্রম চলছে। এই উপলক্ষে ‘ওপেন স্কুল ডে’ প্রোগ্রাম টি আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবারের মত এবারও ফাউন্ডেশন ‘ওপেন স্কুল ডে’ আয়োজন করেছেন যেখানে স্টলে ভর্তি ফি রেজিস্ট্রেশন করা হবে।