আহমদ গিয়াসঃ
আমাদের বঙ্গোপসাগরের একমাত্র ‘লিভিং ফসিল’ বা জীবন্ত জীবাশ্ম নামে পরিচিত রাজ কাঁকড়া দেশের সমুদ্র উপকূল থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। অলৌকিক ওষুধী গুণের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এই প্রাণিটির রক্ত ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অত্যন্ত দামী। প্রাণীটি ডাইনোসর যুগেরও আগের বা ৪৫ কোটি বছর পুরনো আদি প্রাণি যেটি বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু কিছু শক্তিশালী সিন্ডিকেট এই প্রাণীটির রক্ত ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করে দিচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
চিকিৎসা শাস্ত্রে রাজ কাঁকড়ার নীল রক্ত এক যাদুকরী ক্ষমতা সম্পন্ন। মানুষের শরীরের দ্রুুত রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে এবং মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করতে কাঁকড়ার নীল রক্ত অতুলনীয়। এছাড়া এর শরীরের পেছনে থাকা ছোট্ট লেজটি দিয়ে তৈরি করা হয় ক্যান্সারের মহা ওষুধ। এখন চিকিৎসা শাস্ত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা একেকটি রাজ কাঁকড়ার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে পনের লক্ষ টাকা এবং প্রতি গ্যালন রক্তের দাম ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশী মূদ্রায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাময়িকী ও গবেষণাপত্রের বরাত দিয়ে জানান কক্সবাজারস্থ সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফুল হক।
কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই প্রাণিটি ‘দিয় কিঁয়ারা’ বা দৈত্য কাঁকড়া নামেই সমধিক পরিচিত। মাত্র ২ যুগ আগেও কক্সবাজার শহরসহ দেশের বিভিন্ন সমুদ্র উপক‚লের জোয়ারভাটা অঞ্চলে ঝাঁকে ঝাঁকে রাজ কাঁকড়া দেখা যেত। কিন্তু বিস্তীর্ণ উপকূল থেকেই এ প্রাণিটি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে প্রাণিটি হারিয়ে গেলেও এখনও জেলার বিভিন্ন দ্বীপ ও ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদঘেরা কাদা-বালুকাময় অঞ্চলে টিকে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএন এর পর্যবেক্ষণেও বাংলাদেশে প্রাণিটির অবস্থান লাল তালিকায়।
সমুদ্র বিজ্ঞানী আশরাফুল হক বলেন, ৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পরেও প্রাণিটিকে বিস্তীর্ণ উপকূলজুড়ে সচরাচর দেখা যেত। এমনকি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের একদল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সীতাকুন্ডের কুমিরা উপকূলে প্রাণিটিকে দেখেছেন। কিন্তু দামী এই প্রাণিটি সাম্প্রতিককালে প্রকৃতি থেকে এভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক ও উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়কের বাসিন্দা জুলফিকার আলী স্থানীয় জেলেদের বরাত দিয়ে বলেন, ২০/২৫ বছর আগেও শহরের বাঁকখালী নদীর মগচিতা পাড়া নামক স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে দৈত্য কাঁকড়া দেখা যেত। আর মাত্র ১০ বছর আগেও শহরের উত্তর নূনিয়াছড়ায় বাঁকখালী নদীর মোহনায় দেখা যেত। গত চার বছর আগেও সোনাদিয়াতে প্রাণিটি দেখা গেছে। কিন্তু এটি এখন বিলুপ্তির পথে।
একই কথা জানান সীতাকুন্ডের কুমিরা সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাইয়ূম। তিনি জানান, সীতাকুন্ড এলাকার বিভিন্ন সমুদ্র উপকূলের নদী ও খালের মোহনায় এক সময় ঝাঁকে ঝাঁকে রাজকাঁকড়া দেখা যেত। অনেকদিন ধরে আর দেখা যাচ্ছে না।
বাঁশখালী সমুদ্র উপকূলের নদী বা খালের মোহনাতেও এক সময় ঝাঁকে ঝাঁকে রাজকাঁকড়া দেখা যেত। বিশেষ করে শীতকালে। এসব জানান বাঁশখালী এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূলে রাজ কাঁকড়া কমে যাওয়ার কারণে অতিথি পাখির আগমনের হারও কমে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশিষ্ট সমুদ্র বিজ্ঞানী ও কক্সবাজারের সাবেক জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. ম কবীর আহমদ।
তিনি বলেন, শীতকালে অতিথি পাখি হাজার হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসে। এসময় অতিথি পাখিরা এই কাঁকড়ার ডিম খেয়ে দূর্বল শরীরে শক্তি সঞ্চার করে।
তিনি জানান, একটি নারী রাজ কাঁকড়া বছরে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত ডিম দেয়। এরমধ্যে কয়েক হাজার বেঁচে থাকে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
তবে দেশের বিস্তীর্ণ সমুদ্র উপকূলে রাজ কাঁকড়ার প্রায় আবাসস্থল হারিয়ে গেলেও গত প্রায় দেড় বছর আগে শহরের নাজিরারটেকের ওপারে মহেশখালীর প্যারাবনে (ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের বাগান) ৫/৬টি রাজ কাঁকড়ার একটি দলকে দেখতে পেয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের প্রফেসর ড. শেখ আফতাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘জীবন্ত জীবাশ্ম’ নামে পরিচিত বঙ্গোপসাগরের এই আদি প্রাণিটি পৃথিবীর একটি অত্যন্ত প্রাচীন দল। তাদের জীবাশ্মের আত্মীয়রা অর্ডোভিশিয়ান পিরিয়ড (৪৮৫.৪ মিলিয়ন থেকে ৪৪৩.৮ মিলিয়ন বছর পূর্বে) হিসাবে স্বীকৃত। অর্থাৎ জুরাসিক পিরিয়ডের (২০১.৩ মিলিয়ন থেকে ১৪৫ মিলিয়ন বছর আগের) পূর্ববর্তী যুগের এই প্রাণিটি প্রকৃতির চরমতম প্রতিক‚ল পরিবেশেও টিকে থাকা একটি আদি প্রাণি। অথচ এখন চরম বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে প্রাণিটি। বিশেষ করে ওষুধী গুণের কথা প্রচার হয়ে যাওয়ার পর প্রাণিটি পড়েছে চরম ঝুঁকির মুখে।
আমেরিকার বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সেখানে একটি প্রাপ্ত বয়স্ক হর্সশো ক্র্যাব থেকে ৪০০ মিলিলিটার এবং অল্প বয়স্কদের কাছ থেকে মাত্র ৫০ মিলি রক্ত সংগ্রহ করার পর তা প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখানে প্রায় ৩০ ভাগ হর্সশো ক্র্যাব নানাভাবে মারা যায়। হর্সশো ক্র্যাবকে টিকিয়ে রাখার জন্য তার শরীর থেকে উন্নত বিশ্বে মাত্র ১৫% থেকে ৩০% ভাগ রক্ত টেনে নেয়া হয়। অনেক দেশে প্রায় পুরো রক্ত টেনে নিয়ে প্রাণিটিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়।
সমুদ্র বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসাইন জানান, হর্সশো ক্র্যাব চিকিংসাক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থান। এর অনন্য নীল রঙ অল্প পরিমাণে ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণও সনাক্ত করতে সক্ষম। এরা রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন বহন করতে হিমোসায়ানিন ব্যবহার করে। আর হিমোসায়ানিনে থাকা কপার বা তামার কারণেই তাদের রক্ত নীল। চিকিৎ্সা অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোটক্সিন সনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত হয় এই নীল রক্ত।
আমাদের বঙ্গোপসাগরের একমাত্র লিভিং ফসিল হর্সশো ক্র্যাব নিয়ে বাংলাদেশেও গবেষণা হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন কক্সবাজারস্থ সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জুলফিকার আলী। এই প্রাণিটি কীভাবে প্রতিক‚ল পরিবেশেও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিল তা মানবজাতির জন্য শিক্ষনীয় বলেও মনে করেন তিনি।
সাম্প্রতিককালে দেশের সমুদ্র উপকূলে এই নীল রক্তের প্রাণির দেখা খুব কম পাওয়া গেলেও শহরের ঝাউতলাস্থ রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড-এর প্রদর্শনীতে বিভিন্ন আকারের ডজন খানেক জীবন্ত রাজ কাঁকড়া দেখা পাওয়া যায়। এ প্রাণিটি তারা কোত্থেকে ধরে আনে জানতে চাইলে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডের পরিচালক শাহাদৎ হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন উৎস থেকে রাজ কাঁকড়ার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের মাছসহ প্রায় ১৫০ প্রজাতির প্রাণি ধরে এনে আমরা প্রদর্শনীতে রাখি। এখানে আমাদের গবেষণা সেল এবং ল্যাবরেটরিও রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষর্থীসহ অনেক সমুদ্র বিজ্ঞানী এখানে গবেষণা করেন।
তিনি জানান, সমুদ্র থেকে এসব প্রাণি আহরণের জন্য তাদের ‘রেডিয়েন্ট ফিশ রিসোর্স-১ বা আরএসআর-১ নামের একটি জাহাজও রয়েছে। যেটা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার সর্বোচ্চ দুরত্ম পর্যন্ত অনুসন্ধান চালাতে পারে।
বঙ্গোপসাগরের একমাত্র ‘জীবিত জীবাশ্ম’ নিয়ে তারা গবেষণা চালাচ্ছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে রাজকাঁকড়া ধরে আনার পর আমরা ট্রিটমেন্ট করি, এরপর প্রদর্শনীতে রাখি। আবার এর কয়েকদিন নূনিয়াচড়াস্থ আমাদের পরীক্ষামূলক ঘেরে ছেড়ে দেই।
তবে রাজ কাঁকড়ার ওষুধী গুণাগুণ উম্মোচন করা গেলেও গত প্রায় ৭০ বছর ধরে চেষ্টা করেও পৃথিবীর কোথাও ঘেরে বন্দী অবস্থায় কৃত্রিম উপায়ে এ প্রাণির প্রজনন করাতে বিজ্ঞানীরা সক্ষম হননি বলে জানান সমুদ্র বিজ্ঞানী আশরাফুল হক।
তিনি বলেন, ওষুধ শিল্পের জন্য প্রতি বছর কয়েক কোটি করে রাজ কাঁকড়া শিকারের কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চল থেকেই এই জীবন্ত ফসিলটি হারিয়ে গেছে। অনেক স্থানে এই প্রাণিটির বিলুপ্তির সাথে সাথে এর উপর নির্ভরশীল ওষূধ শিল্প কারখানাও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখনও আমাদের বঙ্গোপসাগরের কিছু এলাকায় রাজ কাঁকড়ার আবাসস্থল টিকে আছে। বাংলাদেশ ছাড়াও প্রজাতি ভেদে ভারত, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্র উপকূল, ইন্দো-প্যাসিফিক, ইন্দোনেশিয়ান, আমেরিকান আটলান্টিক উপকূল এবং মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলে হর্সশো ক্র্যাব পাওয়া যায়। তবে পুরো বিশ্বেই এটি বিপন্ন।
তবে রাজ কাঁকড়া নিয়ে ১৯৫০ সাল থেকে আমেরিকায় গবেষণা শুরু হলেও আমাদের দেশে কোন গবেষণা হয়নি বলে জানান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর জাহেদুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ প্রাণিটিকে টিকিয়ে রেখে কাজে লাগানো গেলে আমাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার পাশাপাশি বøু ইকোনমি আরো শক্তিশালী হবে।
তবে বিশ্বব্যাপী এই প্রাণিটি কাঁকড়া হিসাবে পরিচিত হলেও এর শারীরিক গঠন ও ক্রিয়াকলাপ বিশ্লেষন করে বিজ্ঞানীরা একে কাঁকড়া বলতে নারাজ। তাদের মতে প্রাণিটি স্করপিয়ন (বিচ্ছু) বা মাকড়াদের আত্মীয়।
সমুদ্র বিজ্ঞানী আশরাফুল হক জানান, বিশ্বে চার প্রজাতির হর্সশো ক্র্যাব (রাজ কাঁকড়া) দেখা গেলেও আমাদের অঞ্চলে পাওয়া যায় টেচিপি¬য়াস ট্রাইডেন্টাতাস ও টেচিপি¬য়াস গিগাস প্রজাতির হর্সশো ক্র্যাব। তবে এগুলোও অনেকটা দুর্লভ বলে মনে করেন তিনি।
সূত্র জানায়, অলৌকিক ওষুধী গুণের জন্যই কয়েকটি আন্ত:দেশীয় শক্তিশালী পাচারকারী চক্র দেশের মূল্যবান সম্পদটি বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এ চক্রে রয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি। যারা বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে এবং সমুদ্র দিয়ে চোরাই পথে পাচার করে দিচ্ছে রাজ কাঁকড়া ও কাঁকড়ার নীল রক্ত। এই কাজে কিছু ফিশ ফার্ম জড়িত বলেও সূত্রটি দাবি করেছে। গত মাসে থাইল্যান্ডের কয়েকজন বিজ্ঞানীও রাজ কাঁকড়ার সন্ধানে কক্সবাজারে আসেন। থাইল্যান্ডে কাঁকড়ার নীল রক্তের উপর ভিত্তি করে যেসব চিকিৎসা শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে, সেগুলো রক্তের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এখন পঙ্গু হওয়ার পথে।
সূত্রের ধারণা, থাইল্যান্ডের ওই বিজ্ঞানীরা মূলত বাংলাদেশ থেকে নীল রক্ত সংগ্রহের জন্যই এসেছিল।
সূত্রের দাবি, বঙ্গোপসাগর থেকে রাজ কাঁকড়া ধরার পর কূলে এনে ল্যাবরেটরিতে সুক্ষ্ম উপায়ে রক্ত টেনে নেয়া হয়। আর সেই রক্ত সমুদ্র পথে স্পীড বোট বা ট্রলারে করে মাছধরা জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। আর মাঝ সাগরে মাছধরা ট্রলার থেকে থাইল্যান্ডগামী কার্গো জাহাজে তুলে দেওয়া হয় রক্ত। সেসাথে লেজও। সাগর পথ ছাড়াও মাছসহ বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে নীল রক্ত পাচার হচ্ছে বলে জানায় সূত্র। তবে প্রযুক্তিজ্ঞানের অভাবে সংশ্লিষ্টরা এই পাচার কাজ চিহ্নিত করতে পারছেন না বলে দাবি সূত্রের।