১ অক্টোবর দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ‘পাহাড়তলীতে রোহিঙ্গাদের পৃষ্টপোষক ছৈয়দ আলমঃ বাড়িতে রয়েছে জনপ্রতিনিধিদের সীল প্যাড’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও গভীর ষড়যন্ত্রমূলক।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমি একজন প্রতিবন্ধী। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা আমার দু’হাত কেটে নিয়েছে। তারপরও আমি সন্ত্রাসীদের অত্যাচার ও অপরাধীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছি। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সহযোগিতা, এলাকায় অপরাধীদের নানাভাবে প্রতিরোধ করছি। আমি সাত্তারঘোনার সমাজ কমিটি ও মসজিদ কমিটির সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে এসব অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিরোধ করছি। আমাদের এলাকায় রোহিঙ্গাদের ব্যাপক দাপট রয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে বেকায়দায় রয়েছি। তাই রোহিঙ্গা ঠেকাতে বহু আগে থেকে আমি সোচ্চার রয়েছি। তার অংশ হিসেবে নানা অপকৌশলে ভোটার হওয়া রোহিঙ্গাদের ভোটার বাতিল করতে বিভিন্ন সময় আমি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জেলা প্রশাসক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। একই সাথে স্থানীয়ভাবে দাপিয়ে বেড়ানো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। সর্বশেষ সম্প্রতি রোহিঙ্গা ভোটারদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অভিযানে আমি সরাসরি জড়িত রয়েছি। কক্সবাজার থেকে যে রোহিঙ্গা চক্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের গ্রেফতারে আমি প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছি। জেলা নির্বাচন অফিস ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যাচাই করলে তার সত্যতা পাওয়া যাবে।

আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমি কোনো রোহিঙ্গা ভোটার হওয়ায় সহযোগিতা করিনি। বরং তাদের ভোটার হওয়া ঠেকিয়ে দিয়েছি। আমি ভুয়া ভোটার আইডি, ভুয়া জন্ম সনদসহ তৈরিসহ কোনো অপকর্মের সাথে কোনোভাবেই জড়িত নেই। আমার কাছে পৌরসভা বা অন্য কারও ভুয়া সীল থাকার প্রশ্নই আসে না।

আসল কথা হলো, আমার কারণে ঠেকে যাওয়া রোহিঙ্গা ও তাদের এই দেশীয় দোসর এবং আমার কারণে নানাভাবে কোনোঠাসা সন্ত্রাসীদের মদদদাতা স্থানীয় একটি চক্রই আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা সংবাদটি পরিবেশন করিয়েছে। আমার সম্মান ক্ষুন্ন করতেই এই মিথ্যা সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে।

আমি একজন পঙ্গু মানুষ। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বাৎসরিক অনুদান, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে আমি নিয়মিত পঙ্গুভাতা ও অনুদান পেয়ে থাকি। প্রাপ্ত এসব টাকা দিয়ে আমি কোনো মতে আমার পরিবারটা পরিচালনা করছি। 

পরিশেষে আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি। আমি আমার বিরুদ্ধে এই সংবাদের ইন্দনদাতারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে যাবো।

প্রতিবাদকারী

ছৈয়দ আলম

সভাপতি, সাত্তারঘোনা সমাজ কমিটি ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি।
কক্সবাজার পৌরসভা।