বার্তা পরিবেশক :

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাজনৈতিক, পেশাজীবী দল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সবাই একসাথে জোট বেঁধে মন্ডপে মন্ডপে পূজা পরিদর্শন করা হয়। তখন এটি সকল সম্প্রদায়ের উৎসবে পরিণত হয়। দুর্গাপূজায় এমনটি বাংলাদেশের সবখানে হয়। কিন্ত কিছু অঞ্চলে অনেক সময় দেখা যায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়। মন্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। বিরোধ মনোভাবে উত্তেজনায় নানা ঘটনাও হয়। কিন্তু কক্সবাজার সেই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। প্রতিবছর অন্যন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে কক্সবাজারে দুর্গাপূজাকে ঘিরে উৎসব হয়। সকল সম্প্রদায় এতে সহায়তা করেন, অংশগ্রহন করেন, এমনকি পূজোয় শৃংখলা রক্ষায় সবাই যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করেন।

বক্তারা আরো বলেন, দুর্গাপূজায় বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্প্রীতির মহামিলনমেলা হয় সমুদ্র সৈকতে বিজয়া দশমীতে। লাখো মানুষ সমবেত হয় এই দিন। আর লাখো মানুষের মধ্যে থাকেন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ , খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন। শুধু তাই নয় সারাদেশের পর্যটকরাও উপভোগ করেন প্রতিমা বিসহর্জন। প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে অতিথি থাকেন সকল সম্প্রদায়ের ভিআইপিরা। বিজয়া দশমীর এই বিশাল অনুষ্ঠান শান্তি, শৃংখলায় উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জনের এতবড় বিশাল অনুষ্ঠান শুধু বাংলাদেশে নয় ভারতসহ অন্যান্য দেশেও হয় কিনা জানা নেই। তাই গর্ব করে বলতে পারি সম্প্রীতির অন্যন্য দৃষ্টান্ত কক্সবাজারের দুর্গোৎসব ও সমুদ্র সৈকতের মহা বিজয়া দশমী। আর এই সম্প্রীতি আমাদের অক্ষুন্ন রাখতে হবে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুুজিবুর রহমান, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান, পৌর প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান মাবু, চট্রগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, বিএনপির প্রতিনিধি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মো: আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল, পৌর জাসদ সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মাসু, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাষ্টি অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি এডভোকেট দীপংকর বড়–য়া পিন্টু,ইসলামী ফাউন্ডেশন এর প্রতিনিধি মৌলানা আবুল ফয়েজ , কক্সবাজার ইসকনের সভাপতি রাধাগোবিন্দ দাস, সৎসঙ্গ আশ্রমের বিশ^নাথ বন্দোপাধ্যায়, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেন তানিম, ছাত্র ইউনিয়নের অন্তিক চক্রবর্তি। সভায় জেলা পূজা কমিটির উপদেষ্টা, কর্মকর্তা, সদর উপজেলা কমিটির কর্মকর্তা, পৌর পূজা কমিটির কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শতাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।