সংবাদদাতা:
মুর্শিদা খানম নামের এক নারীর নেতৃত্বাধীন চক্রের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরিসহ নানা রকম ছলচাতুরি, প্রতারণাকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জহির উদ্দিন নামের একজন ভুক্তভোগি।তিনি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও কম্পিউটার অপারেটর, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মকবুল সওদাগরপাড়ার গুরা মিয়ার ছেলে।
প্রধান অভিযুক্ত মুর্শিদা খানম রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ফাক্রিকাটার বাসিন্দা, প্রবাসী ওসমান গণির স্ত্রী।
অভিযোগ মতে, মুর্শিদার সিন্ডিকেটে আরো কয়েকজন রয়েছে।
গত ৮ আগষ্ট থানায় রিসিভ করা অভিযোগে উল্লেখ আছে, প্রবাসী স্বামী ওসমান গণির বিরুদ্ধে একটি মামলা করতে হবে বলে গত ১৫ জুলাই সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের ২য় তলার ৭ নম্বর চেম্বারস্থ জহির উদ্দিনের অফিসে যায় মুর্শিদা খানম। ওই দিন কম্পিউটারে কাজে ব্যস্ততার ফাঁকে তার ব্যবহারের স্যামসাং মোবাইলটি চুরি করে নিয়ে যায় মুর্শিদা। যার সিম নং-০১৭১২২৭১৯৩৫। পরে কাস্টমার কেয়ার থেকে জহির সিমটি উত্তোলন করেন। এরপর থেকে তাকে জিম্মি করে নানাভাবে ফাঁদে ফেলে মোটা টাকা আদায়ের চেষ্টা করতে থাকে চিহ্নিত চক্রটি। বিশেষ করে, স্বামী ওসমান গণি বিদেশে থাকার সুবাদে বিভিন্ন পুরুষকে ফাঁদে ফেলছে, অপকর্ম করছে মুর্শিদা খানম। তাকে নিজ এলাকাবাসী ‘পতিতা মুর্শিদা’ হিসেবেও চেনে বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।
অভিযোগ আনা হয়, স্বামীর অজান্তে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে পতিতাবৃত্তি করে আসছে মুর্শিদা। কেউ প্রতিবাদ করলে মামলাসহ নানাভাবে হয়রানীর হুমকি দেয়। আত্মসম্মান রক্ষায় অনেকে মুখ খোলেনা। মুর্শিদার প্রতারণা, হয়রানী ও অপকর্ম থেকে বাঁচতে চায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের দাবী উঠেছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে মুর্শিদা খানমের ব্যবহৃত মুঠোফোনে (নাম্বার-০১৮২৯…১৮৮) যোগাযোগ করতে চাইলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, চুরি, প্রতারণা, প্রতিতাবৃত্তিসহ নানা বিষয়ে একজনের লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।