ছবি সংগৃহিত

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

ঘুমধুম সীমান্তে আবারো স্থল মাইন বিস্ফোরণে আরো এক রোহিঙ্গা যুবক প্রাণ হারিয়েছে। নিহত রোহিঙ্গার নাম আব্দুল মজিদ (৩৪), তার পিতার নাম আবদুল মালেক। সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বাইশফাড়ি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে এই স্থল মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির একজন কর্মকর্তা সিবিএন-কে জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ২৮-২৯ সীমান্ত পিলার এলাকার জিরো পয়েন্টে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থল মাইন বিস্ফোরিত হয়ে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়। সে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প ডি-১ ব্লকের শরনার্থী।
ঘটনার খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনাস্থল অত্যন্ত দুর্গম এলাকা হওয়ায় বিজিবি’র সহায়তায় পুলিশ সীমান্তের থোয়াইঙ্গাঝিরি থেকে ক্ষত বিক্ষত রোহিঙ্গা শরনার্থীর মরদেহটি উদ্ধার করে। স্থল মাইন বিস্ফোরণে উক্ত রোহিঙ্গা যুবকের দুটি পায়ের নীচের অংশ উড়ে গেছে। নিহত রোহিঙ্গা শরনার্থীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে হাসপাতাল পুলিশ বক্সের দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা সিবিএন-কে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৪ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আরও ১ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী নিহত হয়েছিল। এ পর্যন্ত বান্দরবান সীমান্তের চারটি পয়েন্টে মাইন বিস্ফোরণে একজন বাংলাদেশিসহ এ পর্যন্ত মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে সংশ্লিষ্ট সুত্র সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।