ঠিকাদারের অবহেলা দাবী এলজিইডির

এফ এম সুমন, পেকুয়া:

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের প্রধান সড়ক কাটাফাঁড়ি সোনালী বাজার করিমদাঁদ মিয়া সড়কের নাজুক অবস্থা। সড়কে সৃষ্ট হওয়া বড় বড় গর্ত আর ভাংগা ইটের খোয়ায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে স্থানীয়দের। গত বছর সড়ক সংস্কারের কিছু কাজ শুরু হলেও বর্তমানে অদৃশ্য কারনে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে। গত বছরের মে মাসে কার্যাদেশ পেলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্টান তাদের কার্যাদেশের মেয়াদ হারিয়েছে। বর্তমানে সড়কটির কবির মার্কেট পয়েন্ট থেকে করিমদাঁদ মিয়ার জেটিঘাট পর্যন্ত যান চলাচল থেকে শুরু করে মানুষের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উজানটিয়া ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর অর্থায়নে নির্মিত হয়েছিল সড়কটি। নির্মানের পর থেকে অতিরিক্ত লবণ বোঝাই গাড়ি চলাচল ও দফায় দফায় বন্যার কারনে সড়কটির এই করুণ অবস্থা বলছেন স্থানীয়রা। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে স্থানীয় কয়েক হাজারো মানুষ। যাতায়তে বিশেষ করে বেশি কস্ট পাচ্ছেন মহিলা শিশুসহ স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় খান বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল আজিম বলেন, গত বছর যাবত ইট খুলে রেখেছে কিন্ত এখনো কোন কাজ আমরা দেখলাম না। রোদ থাকলে কোন মতে হেটে যাওয়া যায় আর বৃষ্টি থাকলে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পেকুয়া দুদকের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আশেক উল্লাহ বলেন, উজানটিয়ার প্রধান সড়কটি দিয়ে নিয়মিত কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা এই সড়ক দিয়ে লবণ ও চিংড়ি দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানী হয়। সড়কটি অকেঁজো হয়ে যাওয়াতে মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা খুই কষ্ট পাচ্ছেন বলে তিনি দাবী করেন। এই ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্ধা দলিল লিখক সহকারী মহসিন মুন্সি,ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান, মানিকুল ইসলাম সহ স্থানীয়রা বলেন, আমরা এ সড়কের দ্রুত সংস্কার চাই কেননা। একমাত্র এই সড়কটি ছাড়া আমাদের বিকল্প কোন সড়ক নাই। এদিকে এলজিইডির পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ঠিকাদারের কাজ বাতিল করতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি নতুন স্টিমিট তৈরী করে পুনরায় টেন্ডার আহবান করে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।