শাহেদ মিজান, সিবিএন:
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছেন। এই সরকারই দেশের জন্য সবচেয়ে বড় প্রকল্প গ্রহণ করে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশক’টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক মাইকফলক তৈরি করেছে। সরকারের এই উন্নয়নের প্রচারকে প্রসারিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই জন্য সারাদেশে দলীয় নেতকর্মীদের নিয়ে করা হচ্ছে প্রতিনিধি সম্মেলন। এই অংশ হিসেবে কক্সবাজারে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলন। আজ বিকাল ৩টায় কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে এই প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার বিকালে লাইভফিশ হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র প্রচারের জন্য নেতাকর্মীদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে এই প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। একই সাথে দলের কর্মকান্ডকে আরো সুসংগঠিত করতে নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ ও সক্রিয় রাখতেও এই সম্মেলন ভূমিকা রাখবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন বন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম,উপ-দপ্তর সম্পাদক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের চিত্রই পাল্টে দিয়েছেন। পদ্মসেতু, মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ অনেক মেগা ও নানা প্রকার প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের বদৌলতে ইতিমধ্যে দেশ উন্নয়নের একটি অবস্থানে পৌঁছে গেছে। এই উন্নয়ন চিত্র দেশের ইতিহাসের রেকর্ড মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমের বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হওয়ার সন্নিকটে।
সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন, সুশাসনের প্রশ্নে শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স। এই জন্য তিনি দেশকে মাদকমুক্ত করতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সুশাসন নিশ্চিত করতে দুনর্ীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তার জন্য দলের নেতাকর্মীদেরও বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না। কয়েকদিন ধরে ঢাকায় চলমান ক্যাসোনো অভিযান তার জ্বলন্ত উদ্ধাহরণ। আমরা কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর এই জনহিতকর উদ্যোগ অত্যন্ত শুদ্ধার সাথে স্বাগত জানাই। কক্সবাজারেও তিনি এই শুদ্ধি অভিযান চালালে আমাদের কোনো কিছু বলার থাকবে না। বরং আমরা তাদের শতভাগ সহযোগিতা করবো।
তিনি বলেন, কোনো দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মকারীকের কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ প্রশয় দেবে না। তারা যতই নতজানু হোক তাদেরকে আমাদের দলে ঠঁাই পাবে না।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতিনিধি সম্মেলন হচ্ছে দলকে আরো সুসংগঠিত ও নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার প্রক্রিয়া। সেই সাথে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলের ধরার প্রক্রিয়া সৃষ্টিরও বড় প্লাটফর্ম। সেই লক্ষ নিয়েই কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। এই প্রতিনিধি সম্মেলন শতভাগ সফল করতে সব ধরণের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। আজকর মধ্যেই (গতকাল) সম্মেলন স্থলে মঞ্চ ও প্যান্ডেলসহ সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। সেই সাথে সম্মেলনে যোগ দিতে জেলা ও উপজেলাসহ প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের দাওয়াত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই প্রতিনিধি সম্মেলনকে জনসমুদ্র রূপে দেখতে চেয়েছেন। আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি ওনার প্রত্যাশার বাস্তবায়ন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুর রহিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর, সাধারণন সম্পাদক শহীদুল হক সোহেলসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।