ইমাম খাইর, সিবিএন:
এক বছর আগের পাওনা টাকার জন্য এনজিওকর্মী মাজহারুল ইসলাম (৩২)কে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সে এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের কর্মী বলে জানা গেছে। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর পীরগঞ্জের কলোনিরহাট এলাকায়।
উখিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আবুল মনসুর কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে জানান, মাজহারুল ইসলামের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা পাওনা ছিল মো: আলাউদ্দিন। গত এক বছর ধরে পাওনা টাকা না দেওয়াতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে আসামী। তবে, টাকাগুলো কিসের লেনদেনের? তা জানা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জালিয়া পালংয়ের সোনাইছড়িস্থ খালার বাসায় আত্মগোপন থেকে মো: আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়।
মো: আলাউদ্দিন (২৫) উখিয়ার জালিয়াপালং মোহাম্মদ শফিরবিল এলাকার বাসিন্দা জাফর আলমের ছেলে।
তার ছুরিকাঘাতে গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হলুদিয়া পালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা গোরাইয়ারদ্বীপ সড়কের চৌরাস্তার মাথায় এনজিওকর্মী মাজহারুল ইসলাম নিহত হয়।
![](https://www.coxsbazarnews.com/wp-content/uploads/2019/09/Ala_1.jpg)
ঘটনার বিষয়ে থানার পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেসনোটে জানানো হয়েছে, গোয়ালিয়া থেকে গোরাইয়ারদ্বীপ রাস্তার মাথা পর্যন্ত আলাউদ্দিন এবং মাজহার মোটরসাইকেল নিয়ে পৌঁছালে মাজহারের গলার পিছন দিক থেকে ছুরিকাঘাত করে মো: আলাউদ্দিন। এতে দুইজনই মোটরসাইকেলসহ পড়ে যায়।
ছুরিকাঘাতের পর মুমূর্ষ অবস্থায় এমন আচরণের প্রতিবাদ জানায় মাজহার। জানতে চায়, কেন তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে?তাতে দ্বিগুণ ক্ষিপ্ত হয় আলাউদ্দিন। উপর্যুপরি আরো দুই-তিনটি আঘাত করলে রাস্তার পাশে জমিতে গড়িয়ে যায় মাজহার। ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় ঘটনার নায়ক আলাউদ্দিন। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষ মাজহারুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষনা করে চিকিৎসক। ঘটনার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে মো: আলাউদ্দিন।
এদিকে, স্থানীয়দের মুখে শোনা গেছে, এনজিওতে কর্মরত জালিয়াপালং পাইন্যাশিয়া গ্রামের এক গৃহবধূর সাথে মাজহারুল ইসলামের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। যেটি অনেকেই জানতো। পরকিয়ার প্রতিশোধ নিতে ওই মহিলার স্বামীসহ আরো কয়েকজন লোক খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। সঠিকভাবে তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণে এলাকাবাসীর।