এম.এ মাসুদঃ
মানব জীবনে প্রকৃত সফলতার সংজ্ঞা কী?
কাড়ি কাড়ি অর্থ সম্পদ কামানো? বড় ব্যবসায়ী হওয়া? ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়া? বড় কোন ডিগ্রী অর্জন করা? বড় কোন সেলেব্রেটি হওয়া? বড় কোম্পনাীর মালিক হওয়া? রাজনৈতিক দলের বড় নেতা হওয়া? এমপি-মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হওয়া? দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করা? অট্টালিকা অর্জন করে পরিবার নিয়ে আল্ট্রা-মডার্ণ জীবন-যাপন করা? সুন্দরী নারী নিয়ে বিলাসিতা করা? পৃথিবীটাকে হাতের মুঠোয় নিতে পারা? আরও কত কিছু।
একেকজনের দৃষ্টিকোণ থেকে সফলতার সংজ্ঞা হতে পারে একেক রকম। যেমন, কেউ হয়তো অ্যাপলের নতুন আইফোন পকেটে রাখাকে সফলতা মনে করে, আবার কেউ ব্র্যান্ডের কোটি টাকার গাড়ীতে ঘুড়ে বেড়ানোকে সফলতা মনে করে। কারও কাছে সফলতা মানে রাজনৈতিক দলের জেলা-উপজেলার সভাপতি-সেক্রেটারী হওয়া বা কেন্দ্রীয় কোন পোস্টে চান্স পাওয়া অথবা কোন জনপদের মেম্বার-চেয়ারম্যান হয়ে যাওয়া রাতা-রাতি শাসক হয়ে যাওয়া। রাজকীয় বাড়ি-ঘর, অট্টালিকা অর্জন বা কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
নিম্ন মধ্যবিত্ত কারও কাছে ওয়ালটন মোবাইল হাতে পাওয়াটা হতে পারে সফলতা। যে শিক্ষার্থী পড়াশোনায় তেমন ভালো করে না, তার কাছে রোল নম্বর এক, দুই কিংবা তিনের মধ্যে আসতে পারাটা সফলতা। যে ছেলে/মেয়ে শিক্ষার্থী হিসেবে খুব একটা ভালো নয়, তার জন্য হয়তো পাস করাটাই সফলতা। কারও কাছে একাডেমিক ক্যারিয়ার মানেই সফলতা। আবার কেউ নন একাডেমিক ক্যারিয়ার নিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে সফল হতে চায়। হাজার জনের সফলতার সংজ্ঞা হাজার রকম। সফলতার সংজ্ঞা বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবে না।
তো যা-ই হোক, একেকজনের ক্ষেত্রে সংজ্ঞা একেক রকম হলেও, একটা দিক দিয়ে সবাই একমত, সেটি হচ্ছে- প্রতিটি সফলতাই পার্থিব জীবনকে কেন্দ্র করে। প্রতিটি সফলতার পেছনেই আছে দুনিয়াবি চিন্তা। একেক জনের দৃষ্টিভঙ্গি একেক রকম হওয়া সত্ত্বেও মৌলিকভাবে সবার চিন্তাধারা একই। আর তা হচ্ছে নিজের চোখে, সমাজের মানুষের চোখে, পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে সফল হওয়ার আকাঙ্ক্ষা।
সফল হতে চাওয়াটা যতক্ষণ বৈধ হবে, ততক্ষণ এতে দোষের কিছু নেই। সবাই তো বাস্তব জীবনে সফল হতে চায়। কে না চায় সফল হতে ? পার্থিব জীবনে কেউ সফল হয়, কেউ আবার ব্যর্থ হয়। পার্থিব সফলতা চাওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
যুগ যুগ ধরে এ পার্থিব জীবনের জন্য মানুষ কত কিছুই না করেছে। পুরো পৃথিবীটাই পার্থিব সফলতা লাভের মহা আয়োজনে পরিণত হয়েছে। যা বলে শেষ করা যাবে না।
তবে যে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছেকে সঁপে দিয়েছেন মহান আল্লাহর কাছে—তার কাছে সফলতা কেবল দুনিয়াবি চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সীমাবদ্ধ নয় নিজের কিংবা সমাজের দৃষ্টিকোণের সীমিত গণ্ডির মধ্যে। এমন ব্যক্তির কাছে সফলতার সংজ্ঞা অনেক বেশি প্রশস্ত। অনেক বেশি বাস্তব। অনেক বেশি সত্য। এই সফলতাই চূড়ান্ত সফলতা; কারণ, যে ব্যক্তি আল্লাহর চোখে সফল, সে-ই প্রকৃত অর্থে সফল। তার এই সফলতা চিরন্তন। শাশ্বত।
যে লোকটা সারাদিন রিকশা চালিয়ে দিন শেষে নিজের পরিবারের জন্য কিছু খোরাক নিতে পেরেছেন, সেও যেমন এই দৃষ্টিকোণ থেকে সফল, তেমনি যে লোকটা বড় কোনো কোম্পানিতে চাকুরি করে মাস শেষে লাখ টাকার বেতনের চেক বুঝে নিয়েছেন সেও এই দৃষ্টিকোণ থেকে সফল। এই সফলতা পার্থিব জীবনের। কিন্তু এ পার্থিব জীবনের সফলতা চুড়ান্ত সফলতা নয়। সফলতা ও ব্যর্থতার চুড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে শেষ বিচারের দিন। সে দিন সকল মানুষ মহান রবের সামনে কাতারবন্দি হয়ে হাজির হবে। আর সেদিনই দেখা যাবে, কে সফল আর কে ব্যর্থ।
মহিমান্বিত গ্রন্থ আল-কুর’আনে মহান আল্লাহ বিভিন্নভাবে এই সফল ব্যক্তিদের পরিচয় তুলে ধরেছেন। সফল তারাই- “যাদের নেকির পাল্লা ভারী হবে (শেষ বিচারের দিন), তারাই হবে সফলকাম এবং যাদের নেকির পাল্লা হালকা হবে, তারা নিজেরাই হবে নিজেদের ক্ষতি সাধনকারী৷ কারণ তারা আমার আয়াতের সাথে জালেমসূলভ আচরণ চালিয়ে গিয়েছিল৷”
(সূরা: আল- আরাফ-৯)
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন- “তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক অবশ্যই থাকতে হবে, যারা নেকী ও সৎকর্মশীলতার দিকে মানুষকে আহবান করবে, ভালো কাজের নির্দেশ দেবে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে৷ যারা এ দায়িত্ব পালন করবে তারাই সফলকাম হবে ৷”
(সূরা: আল-ইমরান-১০৪।)
আল্লাহ সূরা আস সফে বলেছেন- “হে ঈমান আনয়নকারীগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি ব্যবসার সন্ধান দেবো, যা তোমাদেরকে কঠিন আযাব থেকে মুক্তি দেবে?
তা হচ্ছে- তোমরা আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ ও জান-প্রাণ দিয়ে সংগ্রাম করবে। এটাই তোমাদের জন্য অতিব কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পারো৷ আল্লাহ তোমাদের গোনাহ সমূহ মাফ করে দেবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার নীচ দিয়ে ঝর্ণাধারা বয়ে চলবে৷ চিরস্থায়ী বসবাসের জায়গা জান্নাতের মধ্যে তোমাদেরকে সর্বোত্তম ঘর দান করবেন৷ আর এটাই তোমাদের জন্য বড় সফলতা৷”
(সূরা: আস সফ-১০-১২)
আল্লাহ সূরা মুমিনুনের আয়াতে বলেছেন- “নিশ্চিতভাবে সফলকাম হয়েছে মু’মিনরা, যারা- নিজেদের নামাযে বিনয়াবনত হয়, বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে, যাকাতের পথে সক্রিয় থাকে, নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে নিজেদের স্ত্রীদের ও অধিকারভুক্ত বাঁদীদের ছাড়া, এদের কাছে (হেফাজত না করলে) তারা তিরষ্কৃত হবে না, তবে যারা এর বাইরে আরো কিছু চাইবে তারাই হবে সীমালংঘনকারী।
যারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে এবং নিজেদের নামাযগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে তারাই এমন ধরনের জান্নাতের উত্তরাধিকারী, যারা নিজেদের উত্তরাধিকার হিসেবে জান্নাতুল ফিরদাউস লাভ করবে।”
(সূরা: আল-মুমীনুন ১-১০)
এবার আসুন, সফলতার বিষয়ে কে বেশি জানে সেটি দেখা যাক। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তিনি বেশি জানেন? নাকি সৃষ্টিকর্তার মাটি দিয়ে তৈরী মানুষ গুলো বেশি জানেন? কার কথা সত্য? নিশ্চয় উত্তর দিবেন- নিঃসন্দেহে আল্লাহর কথাই সত্য। অবশ্যই, সৃষ্টিকর্তা কখনো মিথ্যা বলেন না। তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের জন্য কোনটি ভালো কোনটি খারাপ সেটি তিনি ভালো করেই জানেন। তিনি শুধু মানুষ সৃষ্টি করেই ছেড়ে দেননি। যুগে যুগে নবী-রাসুলদের প্রেরণ করে মানুষ কোন পথে চললে সফল হবে ও কোন পথে চললে ব্যর্থ হবে সেটিও দেখিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ তা’য়ালা পৃথিবীতে মানুষের জন্য যা নিয়ামত দিয়েছেন তৎমধ্যে সর্বোউৎকৃষ্ট নেয়ামত হচ্ছে- আল-কুরআন। আল্লাহ কুরআন নাজিল করে মানুষদের অনেক বড় অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহ যদি কুরআন নাজিল না করতো, তাহলে মানুষ পথের দিশা পেত না। তাই তিনি কুরআনের মাধ্যমে পুরো মানবজাতিকে কিভাবে সফলতা লাভ করবে সেটি জানিয়ে দিয়েছেন। এবং কি কি কাজ করলে মানবজাতি ব্যর্থ হবে তাও জানিয়ে দিয়েছেন।
পার্থিব জীবন সম্পর্কে আল্লাহ সূরা তাকাসুরে বলেন- “তোমরা যেনে রাখো যে, পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা, জাঁকজমকপুর্ণ, পারস্পরিক অহংকার প্রকাশ, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি, প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা ব্যতীত আর কিছুই নয়” (সূরা: হাদিদ-২০)
তিনি আরো বলেন- “ হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য, সুতরাং পার্থিব জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে প্রতারিত না করে এবং কোন প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে” (সূরা: ফাতির-৫)
আল্লাহ কুরআনের অন্য আয়াতে বলেছেন- “প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতায় তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। যতক্ষণ না তোমরা কবরে গিয়ে উপস্থিত হও। কখনো নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। আবার শোন, কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। সত্যি তোমরা নিশ্চিত জ্ঞানের ভিত্তিতে জানতে পারবে, ঐ প্রতিযোগিতার পরিণাম।” (সূরা: আত-তাকাসুর-১-৫)
সর্বোপরি, এ পার্থিব জীবনই মানুষের জন্য শেষ নয়, মরণের পরে আরেকটি জীবন রয়েছে। সেটি আসল জীবন। অনন্ত জীবন। যে জীবনের শুরু আছে, শেষ নেই। দুনিয়ার জীবনে আপনি সফল হলেও মৃত্যু বরণ করবেন, আর ব্যর্থ হলেও মৃত্যুবরণ করবেন। আসলে দুনিয়ার জীবনটা অস্থায়ী জীবন, খুব ক্ষণিকের জীবন।
শিশু থেকে কিশোর। কিশোর থেকে তরুণ যুবক। যুবক থেকে দেখতে দেখতে বৃদ্ধায় পরিণত। তারপর হঠাৎ কোন একদিন আল্লাহর ডাক এসে যাবে, তখন থেকে কবরের জীবন শুরু।
এইতো জীবন! ক্ষণিকের পৃথিবীতে মানুষ অনেক দিন বাঁচতে চাইলেও, সময় মানুষকে বাঁচতে দেয়না। সময় যখন শেষ হয়ে আসে, তখন একেক করে সবাই দূরে সরে যায়। একাই কবরে যেতে হয়। আপনি মানেন বা না মানেন, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আল্লাহর দেয়া এ রীতি সৃষ্টির শুরু থেকে চলে আসছে। এবং কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। এটাই চির সত্য।
আর সে, কবরের জীবনে গিয়ে যে সফলতা লাভ করবে, প্রকৃত অর্থে সেই সফল। কারণ, এ কবর দিয়ে পরকালিন জীবনের সুচনা। সফল মানুষরা কবরে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাবে। কবরটাকে আল্লাহ জান্নাতের টুকরো বানিয়ে দিবেন। যে ব্যক্তি কবরে গিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে, তার আর কোন চিন্তার কারণ থাকবে না। আর যারা ব্যর্থজীবন নিয়ে মৃত্যুবরণ করবে, প্রকৃত অর্থে তারাই ব্যর্থ। তাদের ব্যর্থতার ফল কবর থেকে শুরু হবে। আল্লাহ কবরে তাদের কঠিন আযাব দিবেন। এবং সেই আযাব শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত চলতে থাকবে। শেষ বিচারের দিন, যখন তাদের জাহান্নামের ফাইসালা হয়ে যাবে, তখন তারা ব্যর্থতার চুড়ান্ত ফল ভোগ করতে শুরু করবে।
জাহান্নাম সম্পর্কে কুরআনে আল্লাহ বলেন- “জাহান্নামের অগ্নিকুন্ড যখনই ঠান্ডা হয়ে যাবে, তখনই নির্দয় পাহারাদার (দারোগারা) তা আরো উত্তপ্ত করে দিবে, “যখনই তা নির্বাপিত হওয়ার উপক্রম হবে, তখনই তার আগুন আরো বৃদ্ধি করে দিবে” (সূরা: বনী ঈসরাইল-৯৭)
“কখনোই নয়, সে (মানুষ) অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্ট কারীর মধ্যে, আপনি কি জানেন পিষ্টকারী কী? এটা আল্লাহর প্রজ্বলিত অগ্নি, যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে, এতে তাদের বেঁধে দেওয়া হবে, লম্বা লম্বা খুঁটিতে” ( সূরা: হুমাযা-৪-৯)
“(হে মানুষ) তোমরা জাহান্নামের আগুণ থেকে বাঁচার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে অস্বীকারকারীদের জন্য”(সূরা: বাক্বারা-২৪)
যারা জান্নাত লাভ করতে পারবে, সফলতার প্রকৃত অর্থে এরাই চূড়ান্ত সফলতা অর্জনকারী। এই সফলতা অর্জন খুবই একটা সহজ ব্যাপার নয়। এটা অনেক কঠিন। তবে তাদের জন্য সহজ, যারা- সফলতার প্রকৃত অর্থ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেছে। তাদের জন্য মোটেই কঠিন নয়। যারা শেষ বিচারের দিন সফলতা লাভ করবে তাদের সম্পর্কে কুরআন বলছে- “ তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে ও সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি হচ্ছে আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য তৈরী করা হয়েছে।” (সূরা আল ইমরান- ১৩৩)
আর যারা আখিরাতে বিশ্বাসী নয় তাদের দৃষ্টিতে দুনিয়ার ভোগ বিলাসই মুখ্য। তারা ভোগের জন্য বৈধ-অবৈধ কোন কিছু চিন্তা করেনা। তারা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের স্বার্থে আঘাত হানতে পারে। তারা অন্যায়, অপকর্ম করতে দ্বিধাবোধ করেনা। কেননা তাদের দৃষ্টিতে দুনিয়ার আদালত ছাড়া আর কোথাও এসবের জন্য জবাবদিহী করতে হবেনা। প্রকৃতপক্ষে তারাই ব্যর্থ।
পরিশেষে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে ইহকাল ও পরকালিন জীবনে সফলতা অর্জন করে শেষ বিচারের দিন ডান সারির কাতারে যেন সামিল করেন।

লেখক:
এম.এ মাসুদ
ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার ও
সোস্যাল একটিভিস্ট
idealprinters.cox@gmail.com