সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁওঃ

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ছরাখালে গভীর রাতে বিষ প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচ মিশালী মাছ মেরে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০ টার সময় টনটনি ব্রীজ এলাকা থেকে নাছির ও ফারুক নামে দুজনকে হাতেনাতে ধরলেও পরে মুচলেখা দিয়ে ছাড় দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারকে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সিকদার পাড়ার শাহ আলমের পুত্র নাছির ও ফারুকের নেতৃত্বে বিগত ১ সপ্তাহ ধরে খুটাখালী ছড়ায় বিষ প্রয়োগ করে হরেক রকম মাছ নিধন করে বিক্রি করে আসছিল।
বিষয়টি এলাকাবাসির নজরে আসলে মঙ্গলবার রাতে পাহারা বসানো হয়। এসময় নাছির ও ফারুককে টনটনি ব্রীজ এলাকা থেকে বালতি নিয়ে বিষ প্রয়োগ করতে দেখে হাতেনাতে ধরে ফেলে একই এলাকার দেলোয়ারের নেতৃত্বে শাহজান, রমজান ও আনোয়ার হোছেন।
এসময় দু সহোদর নাছির, ফারুক এমন গর্হিত কাজ করবেনা বলে উপস্থিত সকলের সামনে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পায়।
এদিকে দু সহোদরকে হাতেনাতে ধরার ঘটনায় একইদিন রাতে দু সহোদর ও তাদের পিতা শাহ আলমসহ ৪ জনকে দা নিয়ে ধাওয়া করে। এসময় তারা ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে রক্ষা পান।
স্থানীয় যুবক দেলোয়ার, আনোয়ার, রমজান, মান্নান ও শাহজান জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা দু ভাই রাতের অন্ধকারে খুটাখালী ছড়ায় বিষ দিয়ে মাছ নিধন করে বিক্রি করে আসছিল।
প্রতিদিন সকালে ছড়ার পানিতে মাছ মরে ভাসতে দেখে স্থানীয়দের মধ্যে অজানা আতংক বিরাজ করে।
তারা আরো জানায়, দুসহোদর ছড়ায় রাতে বিষ দিয়ে ভোর রাতে মাছ আহরন করে। সকালে পাড়া মহল্লায় বিক্রি করায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসিরা জানায়, অভিযুক্তরা ছড়া খালে রাতে বিষ ঢেলে দেয়। বিষক্রিয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় শতাধিক মাছ মরে ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা হতভম্ব হয়ে পড়েন। তারা তাৎক্ষনিক বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারকে জানালে তারাও মরা মাছ ভাসতে দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান বলেন, বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের ব্যাপারে লোকমুখে শুনেছি। ঘটনা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।