সংবাদদাতা:
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকা থেকে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত যুবকরা হচ্ছেন- লোহাগড়ার পদুয়া দরগাহ মোড়া এলাকার আবু দাইদ হাসান (৩০) ও মহেশখালীর মুন্সির ডেইল এলাকার রুহুল আমিন (১৮)।
তারা দুই জনই রাজাকার পুত্র শাহেদ বাহিনীর সক্রিয় সদস্য বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
পুলিশ সুপারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে মুক্ত হয়েছে জবর দখল হওয়া একটি প্লট।
আল মামুন নামের এক ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের আলোকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের র্নিদেশক্রমে তাদের আটক করা হয়। তবে তাদের গডফাদার শাহেদ এখনো আটক না হওয়ায় যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ফেনীর ছাগলনাইয়ার মহারাজগঞ্জ এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমের পুত্র আল মামুন। ওই অভিযোগে অভিযুক্ত তিন ব্যাক্তি হচ্ছেন আবদুল আজিজের পুত্র শাহেদ তার সহোদর জয়নাল ও জনৈক আবদুল মোনায়েম।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আবু দাইদ হাসান ও রুহুল আমিনসহ তাদের সহযোগী আজ্ঞাত ১০/১২ জন সন্ত্রাসি দীর্ঘদিন পর্যন্ত চাঁদা দাবী করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ৩১ আগষ্ট বিকাল ৪ টার দিকে আল মামুন গংদের মালিকানাধীন প্লটটি দখল করেন শাহেদের নেতৃত্বে উক্ত সন্ত্রাসীরা। পরে নিরুপায় হয়ে পুলিশ সুপারের আশ্রয় নেন ভূক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই চন্দ্রিমা এলাকার পূর্ব পার্শ্বের পাহাড় দিয়ে নামে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসিরা। রাতে আধারে উক্ত সন্ত্রাসিরা মণিরুল হক গংয়ের মালিকানাধীন প্লটে প্রবেশ করতে যায়। উক্ত প্লটে তারা লুপাট চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং জবর দখলের করে। ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতার দাপট দেখিয়ে বীরদর্পে হুমকি দিয়ে চলে আসেন জনৈক সাহেদ। তাদের ধারণা চাঁদার দাবীতে এ ঘটনার সুত্রপাত। কারণ মণিরুল হক গংয়ের মালিকানাধীন প্লটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাদের ভোগদখলে রয়েছে। হঠাৎ সন্ত্রাসিদের অস্ত্র মহড়া ও হুমকি ধমকির কারণ হচ্ছে চাঁদাদাবী।
প্লট মালিক আল মামুন জানান, সাহেদ নামের এ যুবক আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতার নাম ব্যবহার করে আমার প্লট দখলের হুমকি দিয়ে প্রায় সময় চাঁদা দাবী করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত যুবক তার স্বশস্ত্র সন্ত্রাসি বাহিনী নিয়ে আমার প্লটে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং কেয়ারটেকারদের মারধর করে উক্ত প্লটটি জবর দখল করে। এব্যাপারে পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করি।
পুলিশ সুপার কর্তৃক আইনগত প্রতিকার পাওয়ায় প্লট মালিক মাঈন উদ্দিনের ব্যবহৃত ফেইসবুক আইডি থেকে সাথে সাথে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মাননীয় পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তার প্রক্রিয়ায় আরো জানান, দেশে এখনো আইনের শাসন প্রচলন রয়েছে। তারই অংশ বিশেষ অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসিদের আটক করা।
এ বিষয়ে সাহেদের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি জানান, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে জমি সংক্রান্ত বিরুধের জের ধরে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। দখলকৃত প্লটটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।