মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩২ টি রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে প্রশাসনিক ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করা হবে। প্রশাসনের হাতেই ক্যাম্পের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রাখা হবে। ফুড আইটেম ও অত্যাবশ্যকীয় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া কোন ননফুড ও বিলাসবহুল দ্রব্য, অপরাধ কর্মে ব্যবহার হয় এমন সামগ্রী কোন অবস্থাতেই ক্যাম্পে সরবরাহ দেয়া যাবেনা। যাতে ক্যাম্পের সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সবসময় বজায় থাকে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীও নিরাপদ থাকে। ৩২ টি রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের আশে পাশে থাকা অসংখ্য দোকান ও হাটবাজার নিয়ে শিঘ্রী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ক্যাম্প সীমানার বাইরে যাতে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা আসা যাওয়া করতে না পারে সেজন্য বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেয়া হবে।
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন একথা বলেন।
স্থানীয় জনগোষ্ঠী যাতে রোহিঙ্গাদের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে চলে না যায়, সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে, জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হবে। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন আরো বলেন, নিরাপত্তার প্রয়োজনে ক্যাম্প গুলোর সীমানা আরো বাড়ানো হবে। তিনি এসব বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম, ডিডিএলজি শ্রাবস্তী রায়, অতিরিক্ত আরআরআরসি মোঃ শামশুদ্দোহা নয়ন (উপসচিব), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি, ডিজিএফআইয়ের লেঃ কর্নেল রুবাইয়াত, এনএসআই অতিরিক্ত পরিচালক, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান, টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ রবিউল হাসান, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিপিএম-বার, উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল মনসুর সহ উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জনপ্রতিনিধিরা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে স্থানীয় জনসাধারণ চেকপোস্ট গুলোতে চরম বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার বিষয়ে তুলে ধরেন। চেকপোস্ট গুলোতে স্থানীয়দের আরো সহজভাবে পার হওয়া এবং তাদের জন্য যাতায়াত আরো সহজ করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। প্রয়োজনে উখিয়া, টেকনাফ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য পৃথক পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করতে জনপ্রতিনিধিরা সভায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।