বার্তা পরিবেশক:
রামু  খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম  ধেছুয়াপালং জামে মসজিদের জমি   আদালতের মামলা কে তোয়াক্কা না করে ১৫ টি  পিলার দিয়ে খুটি স্থাপন করে  দখল করার চেষ্টা করেছে  ভূমিদস্যুরা ।২৮  আগষ্ট সকাল ১০ টার সময় ধেছুয়াপালং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জমি জবর দখলের চেষ্টার  ঘটনার খবর পেয়ে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় মুসল্লি ও রামু থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে হস্তক্ষেপ করলে  ভূমিদস্যুরা সরে যাওয়ার সময় পূনরায় জবর দখলের প্রকাশে স্থান দিয়ে যায়।  এ ঘটানায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং একই সাথে স্থানীয় মুসল্লীগণের মধ্যে উত্তজনা বিরাজ করছে| যেকোনো সময় দুই পক্ষের মধ্যে  অপ্রীতিকর ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা  করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী এবং মসজিদ কমিটির লোকজন  জানান,দিন দুপুরে মসজিদের জমি জবর দখল করার চেষ্টা করেন ভূমিদস্যুরা।  এই ধরনের নিন্দনীয় কাজের সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে  আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটি।
মসজিদের মাতোয়ালী ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট  মোঃ ইছাক শাহারিয়ার নিকছন  জানান, ধেছুয়াপালং মৌজার আর এস ২২৯ খতিয়ানের  মালিক মৃত আমির হোছন সিকদারের ছেলে  মৃত আবদুল হাকিম সিকদার জীবিত থাকা অবস্থায় পশ্চিম ধেছুয়াপালং জামে মসজিদের নামে ৪৪২৯ নং রেজিস্টেরি ওয়াকফ দলিল মূলে ৫ জুলাই ১৯৬৯ ইংরেজি ৬ একর ৪০ শতক জমি দান করে। তৎকালীন মসজিদের ইমাম ছিলেন মরিচ্যা এলাকার  মৃত্যু আশরাফ আলীর ছেলে মৃত মৌলভী  আবদু রশিদ। ঐ সময় জরিপ কালে ভুলবশত মৃত মৌলভী আব্দুল  রশিদের  নাম বি এস রেকর্ডে আসে।জীবিত থাকা অবস্থায় মৃত মৌলভী আবদু রশিদ মসজিদের কোন জমি জমা দাবি করে নাই দখল করে নাই ও খাজনা দেনাই। মৃত মৌলভী  আবদু রশিদের ১ ছেলে রশিদ আহাম্মদ ও  ১ মেয়ে তমন নাহার আছে। ধেছুয়াপালং এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আবদুল মাবুদ তার ক্ষমতার ও প্রতিপত্তী ব্যবহার করিয়া নিজ ও তার মা চেমন খাতুন সহ দুই জনের নামে দুই একর জমি রশিদ আহাম্মদকে পুছলিয়ে নাম মাত্র মূল্য দিয়ে রেজিস্ট্রেরি করেনে। পরবর্তীতে চেমন খাতুনের নামিয়  ১ একর জমি ছেলে আব্দুল  মাবুদের নামে হেবা দলিল করিয়েনেয়। এ স্থানীয় প্রশাসনে সুবিধা আদায়ের জন্য নিজ নামিয় স্বত্ববিহীন কাগজ ব্যবহার করিয়া
অস্থিত্ববিহীন আব্দুল মাবুদ কলেজের নামে এক একর জমির দানপত্র করে দেয় আব্দুল মাবুদ। মসজিদের জমি আত্মসাৎ করার কথা জানতে পেরে কক্সবাজার যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে  অপর ১৪২/২০১৯ নং মামলা দায়ের করেন  ধেছুয়াপালং মসজিদের মাতোয়ালী ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট  মোঃ ইছাক শাহারিয়ার নিকছন।  বিজ্ঞ আদালত  বিবাদীর নামে নাম জারী কৃত বি এস ৫৯৫ নং খতিয়ান  ও ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ইংরেজির ৮৯৫, ৮৯৬ নং দুইটি দলিলের কার্যকারীতা কার্যকারিতা স্থগিতের  আদেশ দেন, এর আগে কেন বিজ্ঞ আদালত দখল বেদখলের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হবে না তার জন্য কারন দর্শানোর আাদেশ প্রচার করেন। কিন্তু আদালতের এই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঘটনার দিন ২৮/০৮/২০১৯ সকাল ১০ টায় আবদুল মাবুদের  নেতৃত্বে তার বড় ভাই  আবদুল মালেক ও ছোট ভাই আবদু সালাম বাদল সহ ৪০/৫০ বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে মসজিদের স্বত্ব দখলীয় জমি পিলার দিয়ে  দখল করার চেষ্টা করে।
মসজিদের মাতোয়ালি ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট  মোঃ ইছাক শাহারিয়ার নিকছন,সদস্য রেজাউল করিম চৌধুরী, সদস্য  আহমুদুল করিম চৌধুরী জানান- একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদের জমি দখল করা খুব অন্যায় আমরা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মসজিদের ইমাম আবু তাহের মোয়াজ্জেম আবদুল মাজেদ জানান,  মসজিদের জায়গা দখল করার খবর পেয়ে আমারা গিয়ে দেখি আবদুল মাবুদের নেতৃত্বে লোকজন পিলার দিয়ে জমিতে খুটি স্থাপন করার চেষ্টা করে এবং পরবর্তীতে স্থানীয় ও রামু থানার পুলিশের উপস্থিতি দেখে কৌশলে চলে যায়।  মসজিদের জমি রক্ষার্তে  আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।