নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় চাঁদার দাবীতে ডেন্টাল ডাক্তার, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ একই পরিবারের ৪জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দূর্বৃত্তরা।

অাহতেরা হলেন, পেকুয়া নুর ডেন্টাল কেয়ারের ডাক্তার শিলখালী হাজির ঘোনা এলাকার মৃত নুরুল হুদার ছেলে শফিকুর রহমান(২৮), ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রাম বহদ্দার হাট শাখার কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম (৪০), মোঃ ইউনুছ (৪৬) ও তার স্ত্রী হাফজা বেগম (৩০)।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শিলখালী ইউনিয়নের হাজির ঘোনা এলাকায় এঘটনা ঘটে।

অাহত ডেন্টাল ডাক্তার শফিকুর রহমান বলেন, পেকুয়া-শিলখালী সীমান্তে সাকোর পাড় ষ্টেশনে অামাদের তিনটি দোকান রয়েছে। ডাক্তার মোকাম্মেল, অাকবর ও খোকন নামের তিন ব্যক্তি দোকান তিনটি ভাড়া হিসাবে ব্যবহার করেন। অামাদের ওই দোকানে গিয়ে হাজির ঘোনা এলাকার নাঈম নামের এক ব্যক্তিসহ অারো কয়েকজন মিলে চাঁদা দাবী করে অাসছিল। বিগত কয়েকমাস অাগে তার অপকর্ম বেড়ে গেলে শিলখালী ইউপি’র চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু তারা গ্রাম অাদালতে হাজির হননি। এরপর চাঁদা দাবী করলে অামরা না দেওয়ায় একটি দোকান ঘর দখল করে নেন। বিষয়টি থানা প্রশাসনকে অবগত করি। ঘটনার দিন সকালে অামরা দুই ভাই একটি মটর সাইকেল নিয়ে পেকুয়া বাজারে দিকে ও অামার ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা অপর একটি মটর সাইকেল নিয়ে সাকোর পাড়া ষ্টেশনে অাসছিল। এরই মধ্যে হাজির ঘোনা রাস্তায় অাসা মাত্রা মটর সাইকেল চলন্ত অবস্থায় অামাদেরকে গতিরোধ করে কোপাতে শুরু করে নাঈম উদ্দিনসহ তার ভাই ইমু, তাদের পিতা ফিরোজ অাহমদ, অাকবর অাহমদ, অাবদুল হামিদ, কপিল উদ্দিন, রিফাত উদ্দিনসহ অারো কয়েকজন। তাদের হামলায় অামরা তিন ভাই মটর সাইকেল থেকে পড়ে যায়। পড়ে গেলে তাদের অব্যাহত কিরিচের কোপে অামরা ক্ষত বিক্ষত হয়। ওই সময় অামার ভাইয়ের স্ত্রী হাফছা বেগম অামাদের বাঁচাতে এগিয়ে অাসলে তাকেও অাহত করা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে অাসলে তারা পালিয়ে যায়।

ব্যাংক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, নাঈম একজন চাঁদাবাজ। তাকে চাঁদা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে অাহত করার পর মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এর অাগের দিন অামার ভাই মাষ্টার ইউছুফ জামালের বাড়িতে হানা দিয়ে স্বর্ণালংকারসহ দুই লক্ষাধীক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে অারো বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।

শিলখালী ইউপি’র চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন বলেন, ডাক্তার শফিকুর রহমান একটি অভিযোগ গ্রাম অাদালতে দায়ের করেছিল। কিন্তু নাঈমরা হাজির না হওয়ায় সুরহা হয়নি।

পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হামলার বিষয়টি স্থানীয় মাধ্যমে অামি অবগত হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।