ইমাম খাইর, সিবিএন (বরিশাল থেকে) :
বরিশালের বিখ্যাত এবং অপার সৌন্দর্যের নিদর্শন ‘বায়তুল আমান জামে মসজিদ।’ ‘গুঠিয়া মসজিদ’ নামেও পরিচিত। এটি বরিশাল শহরের অদূরে গুঠিয়া নামক স্থানে অবস্থিত।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, মসজিদ কমপ্লেক্সের নকশা এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচ্যের অনেক বিখ্যাত মসজিদ থেকে নেয়া হয়েছে। মোট ১৪ একর জায়গার উপর মসজিদটি নির্মিত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, এই মসজিদে ভেতের বাইরের সব স্থাপনায় ব্যয়বহুল মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে।
মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি সুবিশাল ঈদগাহ, একটি কবরস্থান, তিনটি লেক, একটি মাদ্রাসা এবং একটি এতিমখানাও রয়েছে। মসজিদ এলাকায় গড়ে তুলা হয়েছে বিভিন্ন ফুলের বাগান।
এই মসজিদের ৬০ টি গম্বুজ ও একটি মিনার রয়েছে, যার উচ্চতা ৫৮ মিটার।
একসঙ্গে মুসল্লীর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২০ হাজার।
২০০৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজে বিভিন্নভাবে ২ লাখ ১০ হাজার শ্রমিক নিয়োজিত ছিল। নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৬ সালের ২০ অক্টোবরের দিকে। এরপর থেকে মসজিদটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
স্থানীয় দানবীর কানাডা প্রবাসী সরফুদ্দিন আহমেদ সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।
২২ আগস্ট রাতে মসজিদ পরিদর্শনে গেলে তথ্যগুলো জানান মসজিদের খাদেম শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, মসজিদের নামে আলাদা ট্রাস্ট করে একটি পেট্রোলপাম্প, ১০ তলা ভবন ওয়্কফ করে দিয়েছেন দানবীর সরফুদ্দিন আহমেদ। নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টে সব লেনদেন হয়। দানের টাকা প্রতি মাসে হিসাব করেন পরিচালনা কমিটির সংশ্লিষ্টরা।
নিরাপত্তায় মসজিদের ভেতরে বাইরে ২৬ টি সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে। মহিলাদের নামাজের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।
খাদেম শহিদুল ইসলাম আরো জানান, মসজিদ সংলগ্ন গরীব/এতিমখানায় ৩০ জন ছাত্র সম্পূর্ণ ফ্রি পড়ালেখা করে। মসজিদ একজন খতীব, ২ জন ইমাম, ১ জন মুয়াজ্জিনসহ ২৭ জন খাদেম নিয়োজিত। দাতা সরফুদ্দিন আহমেদ ইসলামের সৌন্দর্য প্রচার ও প্রসারে সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা প্রচুর দর্শনার্থী মসজিদ দেখে বিমোহিত হন।
যেভাবে গুঠিয়া মসজিদে যাবেনঃ
বরিশাল শহর থেকে অটোরিক্সা কিংবা বাসে চেপেই চলে যেতে পারবেন সেইখানে। যেতে আপনার সময় লাগবে কমবেশি ৩০ মিনিট সময়। যাতায়াত ভাড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা।