মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগর সার্বিক অবস্থা একটু কমেছে। ডেঙ্গু রোগ চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের মতে, পরিস্থিতি স্থিতিবস্থা রয়েছে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেছেন-জেলায় এপর্যন্ত মোট ১৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সনাক্ত করা হয়েছে ৫ জন। ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩১ জন। তবে বেসরকারি হিসাব মতে, ডেঙ্গু রোগী সনাক্তের সংখ্যা ১৮২ জন। শনিবার ১৭ আগস্টও মহেশখালীতে ২ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। ঈদুল আজহা ও চামড়ার মূল্য বিপর্যেয়ের ইস্যুর কাছে ডেঙ্গু ইস্যুটি এখন ধামা চাপা পড়ে গেছে। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রোববার সকাল ১১ টা পর্যন্ত মোট ১৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে এখনো ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ৭ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১০৫ জন ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে। এতথ্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার কীট ও অন্যান্য সরন্ঞ্জামের কোন অপ্রতুলতা নেই। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্ণারে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মীরা ২৪ ঘন্টা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার হলো রোববার ১৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০ টায় স্বাস্থ্য বিভাগের কেন্দ্রীয় ডেঙ্গু রোগ তথ্য সেলে ০১৭৫৯১১৪৪৮৮ নম্বর মোবাইল ফোন রিসিভকারী জনৈকা মহিলা রোববার বেলা ১ টার আগে ডেঙ্গু রোগের কোন আপডেট তথ্য দেওয়া যাচ্ছেনা বলে সিবিএন-কে জানান। এদিকে, ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার মূল্য তালিকা না টাঙ্গানোর অভিযোগে চকরিয়া উপজেলার ৩ টি হাসপাতাল ও পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে। চকরিয়া উপজেলার ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবলী নোমান এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।