আবদুল মজিদ ,চকরিয়া :

চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসেনের দুইটি বসতবাড়িতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে অস্ত্র-শস্ত্র সহকারে ৩০/৪০জনের বাহিনী প্রকাশ্য দিবালোকে দু’দফায় হামলা, ভাংচুর ও লুপটাপ চালিয়েছে। হামলায় কাউন্সিলারের পরিবারের ৮সদস্য নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে থানা পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। হামলার শিকার ঘটনাস্থল রাতভবর পাহারা দিলেও ঘটনায় জড়িত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত ১৫ আগষ্ট দুপুর সাড়ে ১২টা ও বেলা দেড়টার দিকে পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর সিকদারপাড়া ও সেনা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

চকরিয়া পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসেন অভিযোগে জানান, তার পৈত্রিক বসতবাড়ি ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর সিকদারপাড়া (ঘনশ্যামবাজার সংলগ্ন) এলাকায় এবং নিজে থাকেন একই ওয়ার্ডের সেনা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায়। তাদের সাথে পূর্বশত্রুতার বিরোধ ছিল ৩নং ওয়ার্ডের কসাইপাড়া এলাকার মৃত আবুল কালাম মনুর পুত্র নানা অপরাধের সাথে জড়িত জুবাইর ওরফে কসাই জবাইরের সাথে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত জুবাইর, তার সহযোগি সেলিম, নবী, লিটন, খোকন ও মনছুরসহ ৩০/৪০জনের অস্ত্রধারী ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী এনে প্রথমে দুপুর সাড়ে ১২টায় তার (কাউন্সিলর নুর হোসেন) পৈত্রিক বাড়ি উত্তর সিকদারপাড়ায় এবং পড়ে বেলা দেড় টায় সেনা ক্যাম্প সংলগ্ন তার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলাকালে বসতবাড়ি, দরজা-জানালা, ঘেরা-বেড়া দা-কিরিছ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ছিন্ন-ভিন্ন-ঝাজড়া করে ফেলে। হামলায় আহত হয়েছে নুর হোসেন কাউন্সিলারের পরিবারের পক্ষের কফিল উদ্দিন (৩২), নার্গিস আক্তার (২৭), আনাস উদ্দিন (২৫), আয়েশা বেগম (৬০), মো: রাজু (২২), মো: রাব্বী (২০), মনোয়ারা বেগম (৪৫) ও রাশেদা বেগম (৫০)। হামলার সময় স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট এবং ভাংচুর অন্তত ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এনিয়ে তারা থানা পুলিশকে জানিয়েছেন এবং মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান। নুর হোসেন কাউন্সিলর অভিযোগ করেন, জুবাইরের নেতৃত্বে একটি চিহ্নিত ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়,সেবন ও গরু চোরচক্র ওই এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। ওই চক্রের কারণে অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) এস.এম সফিকুল আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর তিনিসহ উপপরিদর্শক রুহুল আমিন, উপপরিদর্শক প্রিয় লাল বড়–য়ার নেতৃত্বে পুলিশের ২টি টীম ওই এলাকা পরিদর্শনসহ অভিযান পরিচালনা করেন। এমনকি পরদিন ১৬ আগষ্ট সকাল পযর্ন্ত ঘটনাস্থল পুলিশের নজরদারীতে ছিল। তবে ঘটনার বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।