মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কোরবানি করার জন্য সহীহ শুদ্ধ এখলাস ও সঠিক নিয়ত থাকতে হবে। শুধুমাত্র আল্লাহর ওয়াস্তে, খোদাভীরুতার মাধ্যমে যে কোরবানি করা হবে তাহাই কবুল হবে। কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো-নিজের পশুত্বকে জবাই করে একজন পরিপূর্ণ মুমিন হওয়া এবং মুসলিম মিল্লাতের জনক হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর অনুসৃত ত্যাগের নীতিকে জীবনের সর্বস্থরে যেকোন অবস্থায় বাস্তবায়ন করা। এখলাস বিহীন, লোকদেখানো, অহংকার ও দাম্ভিকতা সম্পন্ন কোরবানি কখনো আল্লাহর কাছে কবুল হয়না। কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আযাহার প্রধান জামাতে খতিব মুফতি মাওলানা সোলাইমান কাসেমী এ কথা বলেন।

জামায়তের পূর্বে কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বক্তৃতা করেন। এসময় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন-কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের উন্নয়নে দু’দফে আগে ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। আগামীতে আমার নামের নিজস্ব বাজেট থেকে আরো প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়ে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের সংস্কার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করা হবে।

জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজারের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের মতো কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানও একটি দর্শনীয় স্থান, এটাকে আরো সংস্কার করা দরকার। তিনি ত্যাগের মহিমায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশগড়ার কাজে আত্মনিয়োগের আহবান জানান। মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন-কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের প্যান্ডেলকে স্থায়ী, আলো-বাতাসের ব্যবস্থা ও আধুনিকায়ন করা হবে এবং আধুনিকায়ন ও সংস্কার কাজ শেষ হলে মুসল্লীদের দুর্দশা লাগব হবে। তিনি মুসল্লীরা বৃষ্টিতে কষ্ট পাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

ঈদুল আযাহার জামাতে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ খোন্দকার হাসান মোঃ ফিরোজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলহাজ্ব মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ সৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির সহ জেলার উর্ধ্বতন কর্মকতা, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি সহ সর্বস্থরের প্রায় ২০ হাজার মুসল্লী জামায়তে অংশ নেন। নামাজ ও খুতবা শেষে দেশ, জাতি ও মানুষের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।