মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত মহান আল্লাহতায়লার শ্রেষ্ঠ দান। কক্সবাজারবাসীর জন্য এটা একটা বড় নিয়ামত। পৃথিবীর সর্বোচ্চ দীর্ঘ বালুকাময় এই সমুদ্র সৈকত। গুগল, উইকিপিডিয়া ইত্যাদিতে খোঁজে দেখা গেছে একপাশে পাহাড়, আর এক পাশে সুদীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্র সৈকত বিশ্বের অন্য কোথাও আর নেই। এ সমুদ্র সৈকতের প্রতি মানুষের তীব্র আকর্ষন থাকা অতি স্বাভাবিক। এ সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করে গড়ে অসংখ্য বাণিজ্যিক স্থাপনা, প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ দেশী-বিদেশী পর্যটক আসে এই বীচ দেখতে, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য, সূর্যাস্থ অবলোকন করতে। সুযোগ পেলে সমুদ্রে সৈকতের লোনাজলে নিজেকে ভিজিয়ে নেন পরমানন্দে। অধিকাংশ ছায়ছবি, গান ও নাটকের সুটিং হয় এ সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত দু’বছর আগে কক্সবাজার সফরে আসলে পা ভিজিয়েছেন এ সমুদ্র সৈকতের লোনাজলে। ন্যাচারাল বিনোদনের এক তীর্থভূমি এ সমুদ্র সৈকত। প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা আয় হয় এই সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা পর্যটন খাতে। জাতীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে এখানকার আয়ের বিরাট একটা অংশ। যা দিয়ে সমৃদ্ধ হয় আমাদের জাতীয় বাজেট। একইসাথে কক্সবাজারের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান গুলোও এই সমুদ্র সৈকতের জন্য দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে। কিন্তু যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে রড, পাথর, কংক্রিটের স্থাপনা গড়ে তুলে খোদায়ী প্রদত্ত এ বিশাল সম্পদকে ধ্বংস করতে আমরা যেন একধরণের প্রতিযোগিতায় নেমেছি। এখন জবর দখলের এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, কোনদিন জানি সাগরের পানি পর্যন্ত জবর দখল হয়ে যায়। এনিয়ে সবসময় প্রশ্ন উঠছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনা ও সঠিকভাবে দেখাশুনার, ভ্রমনকারী লক্ষ লক্ষ পর্যটককে ন্যূনতম নিরাপত্তা দেয়ার কোন কর্তৃপক্ষ কি নেই? থাকলেও তারা কি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি? যদি করে থাকে, তাহলে প্রতিদিন সমুদ্র সৈকত দখলের এ মহোৎসব কেন চলছে। প্রায় সময় সমুদ্র সৈকতে প্রাণহানি ঘটেছে কেন। সৈকতে অহরহ অপরাধকর্ম ঘটছে কেন। সমুদ্র সৈকতে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীরা প্রায়সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কেন। ইত্যাদি আরো অনেক প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। শনিবার ১০ আগষ্ট সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে হত্যা (!) করা হলো অসীম সম্ভাবনাময়ী মেধাবী ২ শিক্ষার্থীকে। ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়া হলো রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের মেধাবী ছাত্র আরিফুল ইসলাম ও উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়া রফিক মাহমুদের পরিবারের সকল স্বপ্ন। আরিফুল ইসলাম কক্সবাজার শহরের টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখস্থ ব্রীক ফিল্ড রোডের উত্তর রুমালিয়ার ছরার সৌদি আরব প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম ও মালেকা বেগমের দ্বিতীয় পুত্র। আর অত্যন্ত ধার্মিক ও আত্মপ্রত্যয়ী রফিক মাহমুদ কক্সবাজার শহরের বৈদ্য ঘোনার জাহেদুল ইসলামের পুত্র। দু’জনই কক্সবাজার সরকারি বয়েজ হাই স্কুল থেকে ২০১৫ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
কি হয়েছিলো শনিবার ১০ আগস্ট :
কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৫ সালের এসএসসি পাশ করা ৮ জন বন্ধু যথাক্রমে (১) আরিফুল ইসলাম, (২) রফিক মাহমুদ, (৩) আহমেদ কাদের, (৪) ইমরুল শাহেদ, (৫) মোবাশ্বেরুল ইসলাম রাফি, (৬) গালিব বিন জাবের, (৭) আদনান হোসেন নোহাদ ও (৮) ইরফান বিন কালাম। তাদের কেউ কেউ কক্সবাজারের বাইরে উচ্চ শিক্ষায় রত আছেন। ঈদুল আযাহার ছুটিতে সবাই কক্সবাজারে আসায় তাদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার পর ফুটবল খেলে। সাড়ে ১০ টার দিকে তারা সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে গিয়ে ৮ জনের ২ জনকে অর্থাৎ ইরফান বিন কালাম ও আদনান হোসেন নোহাদকে বীচের কিটকট চেয়ারে মোবাইল পাহারা দিয়ে বাকী ৬ জন ১১’১০ মিনিটের দিকে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে যায়। এদের মধ্যে গালিব বিন জাবের একটু উপরে অবস্থান করছিলো। ৪/৫ মিনিটের মধ্যে আরিফুল ইসলাম, রফিক মাহমুদ, আহমেদ কাদের, ইমরুল শাহেদ ও মোবাশ্বেরুল ইসলাম রাফি গোসল করতে করতে সমুদ্রের ভাটার ঠানে গভীর সমুদ্রের দিকে চলে যেতে থাকে। পরে ৫ জনের সকলেই প্রথমে কোমর পানি, আবার গলা পর্যন্ত পানি, পরে একেবারে ডুবে গিয়ে কারো কারো শুধুমাত্র হাতের আঙ্গুল দেখা যাচ্ছিল। তখন প্রায় দশ হাত মতো উপরে থাকা গালিব বিন জাবের বুঝতে পারে ৫ জনের সবাই ভেসে যাচ্ছে। গালিব বিন জাবের তখন একটি ১০/১১ বছরের শিশু থেকে একটি টিউব নিয়ে সাহসিকতার সাথে সমুদ্রে নেমে টিউবটা সমুদ্রে ছুড়ে মারলে ইমরুল শাহেদ ও মোবাশ্বেরুল ইসলাম রাফি ঐ টিউব নিয়ে কোন রকমে কূলে উঠে আসে। আর আহমেদ কাদের সাঁতরিয়ে অর্ধ্ব জ্ঞানহীন অবস্থায় কোনরকমে কূলের কাছাকাছি আসলেও মুমূর্ষ অবস্থায় তার নাকমুখ থেকে ফেনা ও লবণাক্ত পানি বের হচ্ছিল। ইতিমধ্যে গালিব বিন জাবের অনেক খুঁজাখুজি করেও লাইফ গার্ডের কোন সদস্যকে পায়নি। অন্য একজন লোক থেকে একটি টিউব চাওয়ার পরও তাকে দেয়া হয়নি। তখন অনেকে ডুবে যাওয়ার ভিডিও ও ছবি উঠাচ্ছিল। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে আরিফুল ইসলাম ও রফিক মাহমুদ গভীর সমুদ্রে একেবারেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। গালিব বিন জাবের, আদনান হোসেন নোহাদ ও ইরফান বিন কালাম মুমূর্ষ অবস্থায় আহমেদ কাদেরকে নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে চলে আসে। চিকিৎসকগণ আহমেদ কাদের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে তাকে সরাসরি আইসিইউ তে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে বীচ বাইকে চড়ে ঘটনাস্থলে টুরিস্ট পুলিশের এসপি মোঃ জিল্লুর রহমান এসে টিউবে করে বেঁচে আসা বিধ্বস্থ ইমরুল শাহেদ ও মোবাশ্বেরুল ইসলাম রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দেন। একজন কনেস্টেবল তাদেরকে চোরের মতো ধরে নিয়ে টুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে বেঁধে রাখে। হাসপাতাল থেকে বেলা দেড়টার পর বীচে এসে গালিব, নোহাদ ও ইরফান দেখতে পান জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সেখানে এসেছেন, সাথে আছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাখন চন্দ্র সুত্র ধর, সেজেগুজে ড্রেস পরা লাইফ গার্ডের কর্মীরা, টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ফটোসেশান করছে। জেলা প্রশাসককে লাইফ গার্ড ও টুরিস্ট পুলিশের লোকজন বুঝাতে চেষ্টা করেন, তারাই প্রাণান্ত চেষ্টা করে ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। তখনো মোবাশ্বেরুল ইসলাম রাফি ও ইমরুল শাহেদ টুরিস্ট পুলিশে কার্যালয়ে আটক রয়েছেন। ফটোসেশানের পর বেলা প্রায় ২ টার দিকে ঘটনার ২ ঘন্টারও বেশী সময় অতিবাহিত হওয়ার পর লাইফ গার্ডের সদস্যরা, টুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের লোকজন তথাকথিত উদ্ধারকার্যে নামে। এদিকে, বিকেল ৩’০৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে কয়েকটি ছবি সহ স্টাটাস দিয়ে উদ্ধারকৃত ৩ জনকে লাইফ গার্ড, টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন জীবিত উদ্ধার করেছেন এবং নিখোঁজ ২ জনকে উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলা হয়। প্রায় আড়াই ঘন্টা পর টুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ে আটক থাকা ২ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে রফিক মাহমুদের মৃতদেহ বীচের কবিতা চত্বর পয়েন্ট থেকে শনিবার বিকেল পৌনে ৪ টায় এবং রোববার সকাল ৮ টার দিকে বীচের নাজিরারটেক পয়েন্ট হতে আরিফুল ইসলামের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই হলো ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ। যা গালিব বিন জাবের, আদনান হোসেন নোহাদ, ইরফান বিন কালাম ও প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ হতে জানা যায় এবং তাদের এ সকল বক্তব্য রেকর্ড করা হয়।
এখন প্রশ্ন হলো :
(১) জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনকে ভূল তথ্য দিয়ে কেন জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ানো হলো। এটা তো জেলার সর্বোচ্চ নির্বাহী বিভাগের ফেসবুক পেইজ। তাতে সাধারণ নাগরিক, গণমাধ্যম সহ সংশ্লিষ্ট সকলে কি বিভ্রান্ত হননি।
(২) লাইফ গার্ডের প্রকৃত কাজ কি। তাদের নিয়ন্ত্রক কোন প্রতিষ্ঠান। সমুদ্রে গোসল করতে নেমে ডুবে গেলে তাদের তৎক্ষনাৎ উদ্ধার করা অথবা কেউ কোন বিপদের সম্মুখীন হলে তাদের সহায়তা দেয়া কি তাদের কাজ নয়। নাকি সমুদ্রে ডুবে কারো প্রাণ গেলে তাদের মৃতদেহ কুড়িয়ে আনা ও ভিআইপিদের সাথে ফটোসেশান করা।
(৩) লাইফ গার্ড তাৎক্ষণিক গোসল করতে নেমে ডুবে যাওয়াদের উদ্ধারে নামলে হয়ত ৫ জনকেই বাঁচানো যেতো। কিন্তু লাইফ গার্ড তা করলনা কেন।
(৪) সমুদ্র উত্তাল ও বিপদজনক সময়ে গোসল করতে না নামার জন্য বারণ করা কি লাইফ গার্ড কিংবা সমুদ্র সৈকতের অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কাজ নয় কি।
(৫) সমুদ্রে প্রায় ডুবে যাওয়া থেকে টিউবে চড়ে কোনরকমে কূলে উঠে আসা ২ জনকে টুরিস্ট পুলিশের এসপি মোঃ জিল্লুর রহমান আদেশ দিয়ে চোরের মতো তাদেরকে বেঁধে রাখলেন কেন। বিধ্বস্থ তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি পুলিশ প্রয়োজন মনে করলে পুলিশী নজরদারিতে তাদের রাখা যেতোনা।
(৬) কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রকৃত কাজ কি। পর্যটকদের বিপদজনক সময়ে তাদের কি কোন দায়িত্ব আছে। নাকি শুধু হকারের কার্ড নিয়ে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করা আর পদ পদবী উল্লেখ করে বিভিন্ন সুবিধা নেয়া।
(৭) যে সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়, সে সমুদ্র সৈকতকে সবার জন্য নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে প্রয়োজনীয় রেসকিউ বোট, রেসকিউ নেট, জেকেট, উদ্ধারকারী সরন্ঞ্জাম ও অন্যান্য অধুনিক ব্যবস্থা করা হচ্ছেনা কেন।
(৮) প্রতিবছর এভাবে সমুদ্রে প্রাণহানি ঘটায়, একদিকে পর্যটকদের মাঝে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে, রাষ্ট্র, জাতি ও পরিবার আরিফুল ইসলাম ও রফিক মাহমুদের বিস্ময়কর প্রতিভা সম্পন্ন সম্ভবনাময়ী তরুণ ও ব্যক্তিদের হারাচ্ছে। এ অবস্থা নিরসনে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কোন দায় দায়িত্ব নেই।
সবাই আরিফুল ইসলাম ও রফিক মাহমুদের অকালে হারিয়ে যাওয়াকে একধরনের নীরব হত্যাকান্ড (!) হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। সবাই বলছেন লাইফ গার্ড ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের এ উদাসীনতা ও গাফিলতির কারনে নিরব হত্যাকান্ডের (!) এ দায় কার। হাসেমিয়া মাদ্রাসা মাঠে রোববার আরিফুল ইসলামের জানাজায় কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানও এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যেতে নাপারায় দুঃখ প্রকাশ করেন। শনিবার এশারের নামাজের আগে রফিক মাহমুদের জানাজা ও রোববার বেলা ২ টায় আরিফুল ইসলামের জানাজার মাঠে এসব প্রশ্ন ও দাবী সবার মুখে মুখে ছিল। সবাই চেয়েছে রোববার ১০ জুলাই এর ঘটনায় নিরেপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হউক। তদন্ত কমিটির উদঘাটিত প্রতিবেদন ও সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া জন্য দাবী তুলেছেন কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি ২০১৫ ব্যাচ সহ সকল কসউবিয়ান। কারণ ভুভুক্ষুদের হিংস্র থাবা থেকে কক্সবাজাবাসীর প্রিয় ‘দইজ্জ্যার চর’ কে বাঁচাতে হবে। আশাকরি কর্তৃপক্ষ বিষয়টার প্রতি সুনজর দেবেন।
(লেখক : আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা।)