গত ১০ আগস্ট ৪ `৫১ অপরাহ্নে উপরোক্ত শিরোনামে কক্সবাজার নিউজ ডটকমে (সিবিএন) প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃস্টিগোচর হয়েছে।সংবাদটি সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। যাহা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমার শিশু মেয়ে ৫ম শ্রেনিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে ঈদগড় বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যারা শিক্ষক এহেতেশামুল হক ফুঁসলিয়ে ধর্ষন করে ৬ মাসের অন্ত:সত্বা কর ফেলে।এই ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে পেটের সন্তান নস্ট করার কুমানসে এহেতেশামুল হক আমার মেয়েকে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে ফুঁসলিয়ে গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় নিয়ে গিয়ে গোপন করে ফেলে।
এই ব্যপারে আমি বাদী হয়ে গত ২৭ জুলাই রামু থানায় মামলা দায়ের করি। ওই রাতেই পুলিশ এহেতেশামুল হককে আটক করে পরের দিন জেল হাজতে প্রেরণ করে।
গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ঈদগাঁও খোদাই বাড়ী এলাকার জনৈক রাজা মিয়া ড্রাইভারের বাড়ী থেকে আমার মেয়ে কে পুলিশ উদ্ধার করে এবং প্রাথমিক জবানবন্দী গ্রহন পুর্বক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরন করে। এই পর্যন্ত ও আমার মেয়ে পুলিশ প্রশাসনের হেফাজতে হাসপাতালে রয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে পিতাপুত্র ও ভাই মিলে কি একজনকে ধর্ষন করতে পারে এমন প্রশ্ন জুড়ে দেওয়া হয়েছে।আমি এজাহারে ধর্ষনের অভিযোগ এনেছি ১ নং আসামী এহেতেশামুল হকের বিরুদ্ধে। আর তার ভাই ও পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছি তারা আমার মেয়েকে গোপন করে আটকিয়ে রাখার।
যে বাড়ী থেকে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে সে বাড়ীটি আমার পরিচিত বা আত্বীয়ের বাড়ী নয়।যাচাই বাচাই করে জানতে পেরেছি ঈদগাঁও খোদাইবাড়ী গ্রামের রাজা মিয়া ড্রাইভার আসামী আমানুল হকের শ্যালক তবিউল আলমের শাশুড় বাড়ীর আত্বীয়।এহেতেশামুল হক গ্রেপ্তার হওয়ার পুর্বে তবিউল আলম ও আমানুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী রশিদ বেগমের মাধ্যমে আমার মেয়েকে ঐ বাড়ীতে লুকিয়ে রেখেছিল। এহেতেশামুল হক গ্রেপ্তার হওয়ার পর অন্যান্য আসামীরা আমার মেয়ের গর্ভপাত ঘটাতে অনেক চিকিৎসকে কাছে দৌড়াদৌড়ি করেছিল।কোন চিকিৎসক রাজী না হওয়াই তারা গর্ভপাত ঘটাতে পারেনি। আর প্রায় ২০ দিন পর্যন্ত আসামী আমানুল হক ফরিদুল হক এবং তাদের আত্মীয় তবিউল আলম ও রশিদা বেগম আমার মেয়েকে আটক রেখে তাদের শেখানো কথা পুলিশ এবং আদালতে বলতে রাজি করে এবং তারাই আবার খবর দিয়ে ঐ বাড়ী থেকে ভিকটিম মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পুলিশকে সহযোগিতা করে।
উক্ত সংবাদে আমার আত্বীয় নুরুল হক ও আহাম্মদ হোসনের ব্যাপারে যে সাঁজানো কিচ্ছাকাহিনী উল্লেখ করা হয়েছে তাহা সম্পুর্ন মিথ্যা।কারো ব্যক্তিগত লেনদেনের ব্যাপারের সাথে আমার মামলার কোন সম্পর্ক নেই। আমাকে মায়ানমারের নাগরিক উল্লেখ করা হয়েছে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলচ্ছি প্রমান করুন। আরো উল্লেখ করা হয়েছে আমার মেয়ে না কি আবুবক্কর ছিদ্দিকের বাড়ীতে অন্য কারো দ্বারা ধর্ষিতা হয়েছে। এই অভিয়োগ কত টুকু সত্য বা যুক্তিক তা আটক এহেতেশামুল হকের পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দির রেকর্ড পড়ে দেখুন। সে শুধু আমার মেয়ে নয় আরো ৬ জনকে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে।
বেশি নাড়াছাড়া করলে গন্ধ বের হবে সেটাই স্বাভাবিক। মূলত: তারা মামলার তদন্ত ব্যাহত করতে এই বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা সংবাদটি পরিবেশন করেছে।
সুতরাং এই মিথ্যা সংবাদে কাওকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদক
রশিদা বেগম (ভিকটিম ছাত্রীর মা)
স্বামী-জামাল হোসেন
গ্রাম-কাটাজঙ্গল
ঈদগড় ইউনিয়ন
রামু-কক্সবাজার।