প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

আদিবাসী ভাষা চর্চা ও সংরক্ষণে এগিয়ে আসুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কক্সবাজার জেলা পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে দিবসটি উপলক্ষে সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বর্ণাঢ্য রলি থেকে শুরু হয়ে কক্সবাজার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বৌদ্ধ বিহারে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটির ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কক্সবাজার জজেলা শাখা সভাপতি থোই অং এর সভাপতিত্বে এ সময়ে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ সাধারন সম্পাদক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কক্সবাজার জেলা শাখা আহবায়ক অনিল দত্ত,তেল- গ্যাস বন্দর রক্ষা কমিটি সাধারন সম্পাদক করিম উল্লাহ, মানবাধিকার ও সাংস্কৃতিক মকবুল আহমদ, নবাশিষ চাকমা,মংসানু নংখু হাজং,দিলিপ তঞ্চঙ্গ্যা, চেনমং ক্যছেনওয়ান, ক্যছেম্রীন, ক্যয়াইন, সাবেক মেম্বার আখিন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামে সাধারন সম্পাদক মংথেনহ্লা রাখাইন বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। সবাই বলেন জাতিসংঘ ঘোষিত ২৫ তম আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে আদিবাসী ভাষা চর্চা ও সংরক্ষণে এগিয়ে আসুন এর বছরের প্রতিপাদ্য,আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বাকৃতি প্রতান সহ আদিবাসীদের মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও বিকাশের লক্ষে জাতীয় পর্যায়ে একটি আদিবাসী ভাষা ও সংস্কৃতি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে হবে, সানটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজি বাস্তবায়নে আদিবাসীদের গুরুত্বসহকারে অংশীদারী করা এবং আদিবাসী সংগঠনসমুহ যাতে এসডিজি বাস্তবায়নে সরাসরি এবং যথাযথ অবদান রাখতে পারে তা সরকার কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে,দক্ষিণ হ্নীলা বৌদ্ধ বিহার সেনপ্রু ক্যাং দখলে থাকা ভূমি অনতিবিলম্বে উদ্ধার করে দিতে হবে,চৌফলদন্ডী ও খুরুশকুল উপকুলে মেরিনড্রাইভ করা সময় ভূমিপুত্র রাখাইন আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা যাবে না,কক্সবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫% আদিবাসীদের জন্য কোটা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে,সরকারে কাছে এর দাবী গুলো আদিবাসী নেতা বলেন।