মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু :
কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পূূর্ব নতুন তিতার পাড়া গ্রামের অসহায় মৃদুল শর্মার বিরুদ্ধে বহিরাগত ভুলা শীল কর্তৃক একের পর এক মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হিন্দু সসম্প্রদায়ের বৃহত্তর মন্দির কমিটির সভাপতি অরেবিন্দু শর্মা জানান, অসহায় মৃদুল ও তার বউয়ের নামে বন্দোবস্ত ও নাম জারীকৃত জমির উপর দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বসবাস করে আসছে তরা ।

গত ২৮ বছর আগে একসনা লেইজ নিয়েছিল ভুলাশীল। এ সূত্র ধরে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে কুচক্রী গুটি কেয়েক মানুষের ইন্ধনে থানা,আদালতসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দায়ের করেন। যা ক্রমান্বয়ে মিথ্যা প্রমানিত হয়। তবে এসব মামলায় মৃদুলের মানহানি সহ আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়।

মৃদুল শর্মা জানান বহিরাগত ভুলা চট্টগ্রাম জেলা ফটিকছড়ির বাসিন্দা। সে আমাকে হয়রানির করতে প্রথমে রামু থানায়, এর পর কক্সবাজার মডেল থানায়,স্থানীয় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীতে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর কক্সবাজারের রামু দায়রাজজ আদালতে ১টি ও ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা স্থানীয় কচ্ছপিয়া চেয়ারম্যান সড়েজমিনে তদন্ত করে আদালতে সত্য প্রতিবেদন দেন। তখন ভুলা আদালতে নাদাবী দিলে আদালত রামু আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে পূর্ণ তদন্ত করার জন্য দেন। তিনিও সত্য প্রতিবেদন দিলে সে আবারো নাদাবী দেয়। ফের তদন্তের জন্য কক্সবাজার পিবিআই পুলিশকে দেন আদালত। পিবিআই পুলিশ কর্মকর্তাও সত্য প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করার পর আদালত মামলা খারিজ করে দেয়। ভুলা আবারও ল্যাগাল এইড অফিসে অভিযোগ দেয়। সেখানে কাগজ পত্র যাচাই -বাছাই করে দীর্ঘ শুনানির পর বিচারক আমার পক্ষে রায় দেন। শেষ পর্যন্ত কোন দপ্তরে স্থান না পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আমার ১২৭৮ নং খতিয়ন বাতিল চেয়ে একখানা মিচ মামলা দায়ের করেন ভুলা শীল। উক্ত জমি আমাকে বিগত ১৯ ৯৮ ইং সনে বন্দবস্তী দেয় সরকার। ২০০০ সালে নামজারী করা হয় আমার নামে।

গত রবিবার উক্ত মিচ মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা গর্জনিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসার মোঃ সাহেদ সড়েজমিনে তদন্ত করতে গেলে এলাকাবাসী মাদকসেবী ভুলা কর্তৃক অসহায় মৃদুলকে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলায় হয়রানির কথা তুলে ধরেন এলাকার বর্তমান মেম্বার জয়নাল আবেদীন ,সাবেক মেম্বার বিমল, সমাজ সেবক আলহাজ্ব ইদ্রিস সিকদারসহ অসংখ্য মানুষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসার জানান ঘটনাস্থল গিয়েছি বিরোধীয় জমিতে মৃদুলের বর্তমান বসতঘর এবং তার নামে খতিয়ানও আছে। তার পরেও উভয় পক্ষের কাগজ পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এলাকাবাসী এ অসহায় মৃদুলকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং মানহানি করায় সহায় সম্পাদ সবই হরাতে বসছে অসহায় মৃদুল পরিবার। এলাকাবাসী মিথ্যা মামলাবাজ ভুলা শীলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।