প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

কয়েকদিন আগে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে এক মহিলা সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় লোকজন কল্লাকাটা ছেলেধরা গুজবের সুযোগ নিয়ে নাজেহাল করতে লাগলে গত ২৬-০৭-২০১৯ ইং টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ শাহেদা আক্তার প্রকাশ সিনু (৪৫) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে গণ পিটুনির হাত থেকে উদ্ধার করে ৷ পুলিশ অনেক চেষ্টা করে মহিলার কোন গার্জিয়ান খুঁজে না পেয়ে উদ্ধারকৃত মহিলাটির পরিচয় উদঘাটনের জন্য মানসিক রোগীদের নিয়ে কাজ করা সেচ্ছাসেবী সংঘটন মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত) এর সভাপতি আবু সুফিয়ান এর নিকট ফোনে সহযোগিতা কামনা করেন ৷ তখন সিনিয়র সদস্যদের সম্মতিতে সভাপতি আবু সুফিয়ান, সেক্রেটারি রাজু পাল ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন সহ তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল স্ব-শরীরে টেকনাফ থানায় উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এবিএম এস তোহা র মধ্যস্ততায় ভিক্টিম এর সাথে সাক্ষাৎ করে। যেহেতু মানসিক ভারসাম্য হীন ভিক্টিম এর দেয়া কিছু কিচ্ছু তথ্য পাওয়া যায় কিছু তথ্য গড়মিল হয়। পরবর্তীতে মারোতের সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া, আইটি সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোছাইন ভূইয়াসহ মহিলাটির সাথে একান্ত ভাবে বসে কথা বলার এক পর্যায়ে সে পিরোজপুরের জিয়া নগরের পাড়ের হাট বলে পরিচয় দেয়। সে সুবাধে মারোতের নের্তৃবৃন্দ জিয়া নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহায়তায় ঐ এলাকার ইউপি সদস্য রাজ্জাক মেম্বারের সাথে কথা বলে ও ছবি ,ভিডিও আদান প্রদানের মাধ্যমে বিস্তারিত পরিচয় উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। ওই নারীটি পিরোজপুর জেলার জিয়া নগর থানার তগড়া হাওলাদার বাড়ীর আমজাদ শেখের স্ত্রী ৷ দীর্ঘদিন ধরে তারা ফেনীতে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে ৷ ভিকটিমের পরিবার জানায়, সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ১০ বছর আগে ফেনী থেকে এক বছর বয়সের মেয়ে সহ ৪ জন ছেলে মেয়ে রেখে নিখোঁজ হয়ে যায় । অনেক খোঁজার পরও তার সন্ধান মিলেনি। মারোতের সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে টেকনাফ থানা কম্পাউন্ডে ভিক্টিম এর দুই ছেলে সাইফুল ও সজীবুলের হাতে টেকনাফ মডেল থানা কর্তৃপক্ষ ও মারোতের নের্তৃবৃন্দ র যৌথ উদ্যোগে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সুসম্পাদিত হয় ৷ এসময় এক অনারম্বর অনুষ্ঠান মারোতের সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় , সাধারণ সম্পাদক রাজু পালের সঞ্চালনায় উক্ত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ মডেল থানার কর্তৃপক্ষের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব এ.বি.এম.এস. দোহা , সাব ইন্সপেক্টর জামসেদ, পুলিশ কনস্টেবল হাবিব সহ অনেকে অপরদিকে মারোত নের্তৃবৃন্দ এর মধ্যে সংগঠন এর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল, উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম, উপদেষ্টা বাবু জয় শংকর নাথ , সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোছাইন ভূইয়া, আইটি সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী, কার্যকরী সদস্য রুহুল কাদের কুতুবী, মোঃ আরিফুল হক রোহান, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আয়ুব আলী সওদাগর , মিনার হোছাইন, মোহাম্মদ মোশাররফ, মোহাম্মদ ইউছুফ প্রমুখ ৷ মারোতের সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন “অসহায় মানসিক রোগীদের নিয়ে কাজ করা এই সংঘটন ইতিমধ্যে ১৮ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে, এইটি আমাদের ১৯ তম রোগী ৷ মানসিক রোগীদের নিয়ে কাজ করতে পারলে নিজের কাছে খুব আনন্দ লাগে, ১০ বছর পর ছেলে মেয়ে নিজ মাকে ফিরে পেল এইটা আমার সফলতা” ৷ পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত জনাব দোহা এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সুসম্পাদিত হওয়ায় মানসিক রোগীদের তহবিল মারোত এর ভুয়সী প্রশংসা করেন। সভাপতি র বক্তৃতা য় জনাব আবু সুফিয়ান বলেন “মারোত অসহায় ভাসমান মানসিক রোগীদের মাঝে নতুন নতুন সহযোগিতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে, এই সেচ্ছাসেবী সংঘটন এর আর্ত মানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন”। অনুষ্ঠান শেষে ভিকটিম এর পরিবারের হাতে মারোতের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক অনুদান এবং নতুন কাপড় দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়৷
মারোতের মহৎ কাজে শামিল হতে চান অবশ্যই যোগাযোগ করুন – মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত) হাকিম আলী মার্কেট, মেইন রোড, টেকনাফ পৌরসভা।
আলাপনী- ০১৮৪৭২৪০২৫২/০১৮১৭৩১৬২৩৩
mail- sfnbpl@gmail.com
পেইজ- মানসিক রোগীদের তহবিল মারোত গ্রুপ।