মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত টেকনাফের ইয়াবা কারবারি মোহাম্মদ আমিনের জমি, গাড়ি, দু’টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দিয়েছে আদালত। চট্রগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আকবর হোসেন মৃধা রোববার ২৮ জুলাই এ আদেশ দেন। মোহাম্মদ আমিন টেকনাফ উপজেলার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইলপাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় গতবছর নিহত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনের বাবা। সে চট্টগ্রাম মহানগরীর ওআর নিজাম রোড এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। গত ২২ জুলাই মোহাম্মদ আমিনের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার জন্য উক্ত আদালতে আবেদন করেন মামলার বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতের বেন্ঞ্চ সহকারী সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন। আদালত উৎসবিহীন সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় তার জমি, গাড়ি ও দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু সিবিএন-কে জানান, রোববার ২৮ জুলাই ইয়াবা কারবারি মোহাম্মদ আমিনের সম্পদ জব্দের আবেদনের চুড়ান্ত শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত তার চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার ষোলশহর মৌজায় ২ শতাংশ জমি, একটি প্রাইভেট কার ও একটি মাইক্রোবাস জব্দের আদেশ দেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীর ওআর নিজাম রোড এবং মুরাদপুরে ইউসিবিএল ব্যাংকের দুটি শাখায় মোহাম্মদ আমিনের দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন বলেও জানান দুদকের উক্ত আইনজীবী।
এর আগে ১৯ জুন একই কর্মকর্তা অর্থাৎ দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন বাদী হয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিনের বিরুদ্ধে উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন এবং আয়কর রিটার্নে তথ্য গোপনের অভিযোগে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমিনের বিরুদ্ধে ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৩ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জনে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে তথ্য গোপন করে ভিত্তিহীন বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের’ অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে সঙ্গতি না থাকা ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪ টাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগও করা হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে কক্সবাজারের স্পেশাল জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ খোন্দকার হাসান মোঃ ফিরোজ টেকনাফের অপর এক ইয়াবা কারবারির সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছিলেন। সে আদেশের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম আদালত কর্তৃক নিযুক্ত রিসিভার হিসাবে উক্ত সম্পদ ক্রোক করে তাঁর অনুকূলে নিয়ে আসে। এনিয়ে এ পর্যন্ত দু’জন তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারির সম্পদ আদালতের মাধ্যমে ক্রোক করার আদেশ হলো।