বিশেষ প্রতিবেদক:
টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালীর হলবনিয়াপাড়া ঘাটের সভাপতি মোসলিম মিয়ার বিরুদ্ধে জেলেদের কাছ থেকে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে প্রায় ৪০ জন স্থানীয় জেলেদের জনপ্রতি ১ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে নামার সুযোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন জেলে। উক্ত সভাপতি টাকার ভাগ কোষ্টগার্ড এবং বিজিবিকে দেওয়ার নাম করে গণহারে টাকা আদায় করার কারনে জেলেদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে চাঁদা আদায় করে ৬৫ দিনে বিপুল টাকার মালিক বনে গেছে এ সভাপতি। হলবনিয়াপাড়ার ৫ নং ওয়ার্ডের ছৈয়দ আকবরের পুত্র মোসলিম মিয়া প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
শুধুমাত্র জেলেদের জিম্মি করে ৪০ টি মাছ ধরার নৌকা থেকে মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার জন্য সাগরে নামার অনুমতি দিয়ে যে টাকা আদায় করেছে সে টাকায় ২টি মাছ ধরার নৌকার মালিক হয়েছে মোসলেম মিয়া। অনেকে তার নৌকায় ইয়াবা পাচারের ও অভিযোগ করেছেন।কম সময়ের মধ্যে বিপুল টাকার মালিক হওয়ায় জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে তার চালচলনে। স্থানীয় জাহাজপুরার জাফর আলমের পুত্র নুরুল ইসলামের কাছ থেকে উক্ত সভাপতি মাছ ধরার জন্য নৌকা সাগরে নামানোর অনুমতি দেবার নাম করে ২৮ হাজার চাঁদা নিয়েছে যেটি কোষ্ট গার্ডের নামে আদায় করেছে অভিযোগ রয়েছে। অনেক জেলে ভয়ে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানাতে না চাইলে ও স্থানীয় জেলে ছলিম উল্লাহ, নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে দৈনিক ১ হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়ে মাছ ধরতে সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ২০১০ সালে জাহাজপুরার একটি দোকানে স্থানীয় আশরাফ জামানের ছেলে হোসেন আহমদকে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে এ মোসলেম মিয়া। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় এসটিসি ২১৭/১০ ইং মামলা দায়ের করেন পিতা আশরাফ জামান। হত্যা মামলার আসামি হয়েও প্রভাব খাটিয়ে জেলেদের জিম্মি করে মোটা চাঁদা আদায়কারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চাঁদাবাজির শিকার জেলেরা।