নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মাইকিং করার তিন দিনের মাথায় কক্সবাজার পৌরসভার নালা-নর্দমা ও ড্রেনে দখল করে তৈরী করা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ শুরু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহেনা আক্তার পাখি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুরপাড়ায় মেয়র মহোদয়ের নেতৃত্বে গত এক মাস থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম।
নালা-নর্দমা ও ড্রেন দখল করে অবৈধ স্থাপনাকারীদের সতর্ক করে তিন দিন আগে মাইকিং করেছিলাম।
অন্যথায় পৌরসভার দায়িত্বে স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
পৌর কর্তৃপক্ষের এই নোটিশে নিজ দায়িত্বে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে দখলদাররা।
যারা পৌর কর্তৃপক্ষের নোটিশকে গুরুত্ব দিয়েছেন, মূল্যায়ন করেছেন সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সেই সঙ্গে সাময়িক কষ্ট পাবার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
কাউন্সিলর পাখি বলেন, জনগণের প্রয়োজনের সবসময় মাঠে আছি। মাঠেই থাকব, ইনশাআল্লাহ।
পৌরসভার চলমান অভিযানে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন, সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সরেজমিন দেখা গেছে, পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের নুর পাড়ায় প্রবেশপথ তথা উমিদিয়া মাদ্রাসার সামনে দিক থেকে ড্রেনটি গিয়ে সোজাসুজি বাঁককালী নদীতে পড়েছে। এক সময় এই ড্রেনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও গভীর থাকলেও দখলবাজির কারণে এটি ভরে গেছে।
ড্রেন দখল করে নির্মিত হয়েছে দোকানপাট ও বসতবাড়ি। ড্রেনের জমে থাকা ময়লা-আবর্জনাগুলো দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। যে কারণে বর্ষা মৌসুম আসলেই এখানকার বাসিন্দাদের অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাধাগ্রস্ত হয় জীবন চলা।
ড্রেনের দক্ষিণ মাথা থেকে শেষ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন দখলদার নির্মাণ করেছে বসতবাড়ি ও দোকানপাট। তারা পৈত্রিক জমির মতো ভোগ করছে পৌরসভার ড্রেনের জায়গা। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে ড্রেন দিয়ে পানি চলাচল করতে না পেরে ময়লা পানি বসতবাড়িতে ঢুকে পড়ে। চলার পথে জমে থাকছে ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি।
দেখা গেছে, নূরপাড়ার উত্তর মাথায় স্লুইচগেট এলাকায় ড্রেনের জায়গার উপর নির্মিত হয়েছে কয়েকটি বসতবাড়ি। এ কারণে উপর থেকে আসা পানি নিচে নামতে পারছে না। স্বাভাবিক চলাচলের পথ বাধাগ্রস্ত হয়ে আশপাশের বসতবাড়ি ও আঙ্গিনায় ঢুকে পড়ে ড্রেনের পানি। এ বিষয়ে ধারাবাহিক কয়েকটি রিপোর্ট করে কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)।