শাহীন মাহমুদ রাসেল

কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের বাংলাবাজার থেকে খুরুশকুল পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কে ৩৭টি গতিরোধক (স্পিড ব্রেকার) রয়েছে। এতে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

অতিরিক্ত গতিরোধক থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে সময়ও বেশি লাগছে। ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। সড়কে ঘন ঘন গতিরোধক থাকায় রোগীদের হাসপাতালে নিতেও দুর্ভোগ পোহাতে হয় প্রতিনিয়ত। এত বেশি গতিরোধকের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত গতিরোধক অপসারণের দাবি জানায়। পিএমখালী ইউনিয়নের শেষের দিকে তুতুকখালী থেকে কয়েকশ গজ এগিয়ে গেলেই তেতৈয়া বাজার। সেটি পার হলে পর পর তিনটি গতিরোধক।

তারপর তেতৈয়া বাজারের জামে মসজিদের প্রবেশপথের সামনে গতিরোধক। এভাবে বাংলাবাজার হয়ে খুরুশকুল যেতে সড়কের বিভিন্ন মোড়, বাজার ও বিভিন্ন দোকান ও বসতবাড়ির সামনে রয়েছে গতিরোধক। ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে গতিরোধক দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব গতিরোধকের বেশির ভাগের আগে-পরে গতিরোধক কোনো চিহ্ন নেই। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী অনেককে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

বাংলাবাজার-খুরুশকুল সড়কের চালক মো. সোহেল বলেন, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদের সামনে গতিরোধক দরকার। তবে বাসা ও দোকানের সামনে এত গতিরোধকের দরকার নেই। তা ছাড়া সব গতিরোধক সাদা রং দিয়ে চিহ্নিত করে দিলে ভালো হতো। কিছু কিছু গতিরোধক চলন্ত অবস্থায় বোঝা যায় না। এতে আমাদের সমস্যা হয়। গাড়ি ভর্তি যাত্রী থাকলে গতিরোধক পার হওয়ার সময় ঝাঁকি লাগে। নির্দিষ্ট জায়গায় গতিরোধক থাকলে যানবাহন চলাচলে সুবিধা হয়।

যাত্রী মো. জুলফিকার আলী বলেন, এ রাস্তায় এত গতিরোধক অথচ কোনো সিগন্যাল নেই। হঠাৎ গতিরোধক পার হওয়ার সময় প্রচণ্ড ঝাঁকি লাগে। সিগন্যাল থাকলে চালক নিয়ন্ত্রণে রেখে গাড়ি চালাতে পারত, দুর্ঘটনা বা যাত্রীরা প্রচণ্ড ঝাঁকি থেকেও রেহাই পেত।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, আঞ্চলিক সড়কে গতিরোধক থাকবে। তবে প্রয়োজন ছাড়া ইচ্ছা করলেই কেউ সেটি দিতে পারবে না। গতিরোধকের দুই পাশে চিহ্নও দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় গতিরোধক স্থানীয়ভাবেই অপসারণ করা যেতে পারে।