মোঃ ছফওয়ানুল করিমঃ
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) নির্বাহী পরিচালক ড. শেখ রেজাউল ইসলাম বলেছেন, “বীমা কোম্পানীগুলো গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ বা গ্রাহককে ঠকানোর কোন সুযোগ রাখেনি সরকার। সরকার ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে’র মাধ্যমে কোম্পানীগুলোকে একটি আইনী অবকাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসে সকল কোম্পানীকে জবাবদীহিতার আওতায় নিয়ে এসছে। পর্যায়ক্রমের দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ও প্রতিষ্ঠান যানবাহন সহ সবগুলোকে বীমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে” তিনি বলেন, “বীমা কোম্পানীগুলোর উন্নয়নে তাদের নিজেদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তাদেরকে হতে হবে আরো দায়ীত্বশীল। বীমার কর্মীরা লুকিয়ে নয় বুক ফুলিয়ে হাটার মতো সৎ সাহস অর্জন করতে হবে। মানুষের আস্থা নিয়ে কোন অবস্থাতেই ছিনিমিনি খেলা যাবেনা।” বিদেশে যারা বীমা নিয়ে কাজ করে তাদেরকে মানুষ সর্ব্বোচ্চ মূল্যায়ন করে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “বর্তমান সরকার বীমার উন্নয়ন ও বীমার সুবিধা মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ’ গঠন করে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে বীমার প্রতি মানুষের আস্থা তৈরীর কাজটি করতে হবে কোম্পানীগুলোকে।” তিনি বলেন, “এখন আর বীমা কোম্পানীগুলো গ্রাহকদের ঠকানো বা তাদের অর্থ আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই কেননা সরকার বীমা কোম্পানীগুলোকে আইনী কাঠামোই নিয়ে এসে তাদের উপর কঠোর নজরদারী রেখেছে।
২৪ মে কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউসের হলরুমে সকল বীমা কোম্পানীর সাথে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ)’র সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শেখ রেজাউল ইসলাম একথাগুলো বলেন। প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ সলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কক্সবাজার জেলা ইনচার্জ রফিকুল আলম। এতে কক্সবাজারে অবস্থিত ফারইষ্ট, প্রাইম, প্রগতি, সানফ্লাউয়ার, সানলাইফ, সন্ধানী, পপুলার, পদ্মা, পাইওনিয়ার, হোমল্যান্ড, রূপালী, চাটার্ড লাইফ, ট্রাষ্টসহ বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।