সংবাদদাতা:
কক্সবাজার কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন গেইটের ক্যান্টিনটি ৩ সদস্যের একটি সিন্ডিকেটের দখলে। উক্ত সিন্ডিকেটটি কারাগারে বন্দীদের দেখতে আসা স্বজনদের জিম্মি করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাজার দামের চেয়ে দুই গুন বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে কারাগারে বন্দীদের দেখতে আসা স্বজনরা ঐ সিন্ডিকেটের কাছে এক ধরনের জিম্মি হয়ে জেলে থাকা বন্দীদের জন্য চড়া দামে মালামাল ক্রয় করতে হচ্ছে। যার কারণে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা হয়রানির স্কীকার হচ্ছে।
অপরদিকে এ নিয়ে দিন দিন নষ্ট হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে নানা আলোচনা আর সমালোচনা ঝড় উঠেছে। জেলা কারাগারের প্রধান গেইটে অবস্থিতি এই ক্যান্টিনটি একমাত্র বন্দীদের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করার এক মাত্র প্রতিষ্ঠান। সেখানে এখন নতুন করে জেল পুলিশের সার্জেন মামুন, সুবেদার আমিন ও ম্যানেজার এমদাত উল্লাহসহ এ তিন জন মিলে বাজার মূল্যের চেয়ে দুই গুন বেশি দামে বন্দীদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বেচা বিক্রি করছে, এসব দেখার কেউ নেই।
ক্যান্টিন থেকে মালামাল ক্রয় করা এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানান খোলা বাজারে চিনির মূল্য ৪৫ -৫০ টাকা,আর ক্যান্টিনে
৭০ -৭৫ টাকা,চিড়া বাজার দাম ৪০ টাকা সেখানে ৭০ টাকা,শষা (কিরা ফল) বাজার দাম ১৫-২০ টাকা সেখানে ৭০ টাকা,টমেটো বাজার মূল্য ৩০ টাকা সেখানে ৭৫-৮০ টাকা,কাঁচা মরিচ খোলা বাজারে ৩০ টাকা আর ক্যান্টিনে ১২০ টাকা,পিয়াঁজ বাজার দাম ২৫ টাকা সেখানে ৮০ টাকা,বাজারে যে লুঙ্গি ১৯৫ টাকা সে লুঙ্গি সেখানে ৩৫০ টাকা, বাজারে যে বেট সিট ১৩০ টাকা সেটা ক্যান্টিনে দাম ৩০০ টাকা,ডেটল সাবান বাজার মূল্য ৩৫ টাকা আর সেখানে ৪৫ টাকা দামে বিক্রি করে। এ ভাবে প্রতিনিয়ত প্রতিটি পণ্য খোলা বাজারের চেয়ে চাড়া দামে বিক্রি করে আসছে এই সিন্ডিকেটটি।
অথচ তারা বাজার থেকে যে মালামাল ১০, ১৫ ও ২০ টাকা কম দামে পাইকারী মূ্ল্যে ক্রয় করে, সে মালামল করাগারের এই ক্যান্টিনে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। এব্যাপারে মুঠোফোনে এমদাদ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে সার্জেন্ট মামুন ও আমিন সাহেব জানেন।
এসব বিষয়ে জানতে জেল সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ এর ০১৭১১১৪৪৪০৯ নং মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবছর রোজা শুরু থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে সরকারের আশ্বাসে ক্রেতারা স্বস্তিতে থাকলেও কক্সবাজার জেলা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের ক্যান্টিনটিতে মালামালের দাম বৃদ্ধির প্রভাব থেকে সাধারণ মানুষ আদৌ রক্ষা পায়নি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন উক্ত ক্যান্টিনের পণ্য বিক্রি মনিটরিং করে মূল্য তালিকা দেওয়ার জন্য দাবী জানান ভুক্তভোগী মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেল সুপার ও জেলারের নজরদারীর অভাবে বন্দীদের দেখতে আসা প্রতিদিন শত শত ক্রেতারা এই বিশেষ সিন্ডিকেটের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে। এতে দূর দূরান্ত থেকে আসা মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত পরিবারসহ দিন-মজুরেরা চরম অসহায় হয়ে পড়ে।
ক্যান্টিনে মালামাল বিভিন্ন খাদ্য পণ্য জরুরী ভিত্তিতে মনিটরিং করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান হয়রানির শিকার মানুষেরা।