সংবাদদাতা:
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুরে কোন কারণ ছাড়াই প্রভাবশালী দুই ভাই রহমত উল্লাহ নামের এক এতিম যুবককে নির্দয়ভাবে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পবিত্র রমজান মাসে একজন অসহায় এতিমের উপরে এমন অমানুষিক নির্যাতনের কারনে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

শুক্রবার (১৭মে) রাতে শিল্পএলাকা ইসলামপুরে খাল পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী রাহমত উল্লাহ্ জানান, শ্রমিক নেতা ও ইসলামপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আনোয়ার সাদাত খোকন এতিমদের সাহায্য সহযোগীতা করেন বলে
মাঝে মাঝে আমি তার কাছে যায়।

সে অপরাধে গত বৃহস্পতিবার শাহজালাল মেম্বারের বড় ছেলে সাবেক শিবির ক্যাডার সরওয়ার আলম প্রথমে আমাকে পুলিশে দিয়ে ধরে নিয়ে যায়।পরে মাদক সেবনকারী বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার চেষ্ট করে।কিন্তু বিজ্ঞ আদালত আমার কোন দোষ না থাকায় আমাকে মুক্ত করে দেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সরওয়ার ও তার চাচাতো ভাই যুবদলের নেতা রফিক আমাকে অমানুষিক ভাবে মারধর করেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ দুনিয়াতে তার কোন আত্মীয়স্বজন না থাকায় আল্লাহ ছাড়া কাউকে বিচার দেয়ার ক্ষমতা নেই তার।রহমত উল্লাহ্ আকুতি করে বলেন, আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি এটি জানতে পারলে তারা আমাকে মেরে ফেলবে।

মারধরের একদিন পেরিয়ে গেলেও টাকার অভাবে ও ভয়ে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রহমত উল্লাহ।

খবর নিয়ে জানা যায়, যুবদল নেতা রফিক বহু অপর্মের হোতা। তিনি গত সংসদ নির্বাচনে ইসলাপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেলকে মেরে রক্তাক্ত করেছিলেন। এবং বিভিন্ন সময় সরকার বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাই জ্বালাও পোড়াসহ রফিকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

এবং সরওয়ারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণা চালানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের মুঠোফোনে সংযোগ না দেয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে আনোয়ার সাদাত খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এতিম ছেলেটিকে মারধরেে কথা আমিও শুনেছি। তিনি বলেন,এতিম ছেলেটি মাঝে মাঝে চাউল ডালের জন্য আমার কাছে আসে এটি তার অপরাধ।

ঈদগাঁওর পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানান,ছেলেটিকে আটকের পর কোন দোষ দ্রুটি খোঁজে না পাওয়া ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

তবে তাকে পরবর্তী মারধর করা হলে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।সে অভিযোগ করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত ওসি খাইরুজ্জামান বলেন,পবিত্র রমাজন মাসে এতিমদেরকে যেখানে বেশি বেশি সহযোগীতা করবেন, তা না করে কোন কারন ছাড়াই মারধর এটি মেনে নেয়া যায়না। তিনি ভুক্তভোগীকে থানায় অভিযোগ করার অনুরোধ জানান। এবং অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা বলে জানান তিনি।