মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
কক্সবাজারে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ায় ছিনতাইকারী কর্তৃক একটি স্মার্ট ফোন চুরি করাকে কেন্দ্র করে গত ৮ মে মোবাইল ফোনের বিচার করতে গিয়ে সন্ত্রাসী রাসেল গংরা স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল আলমের উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করেন। ঐ দিন সন্ধ্যা ৭টায় স্থানীয় উত্তর পাড়ার আইয়ুবের চায়ের দোকানের সামনে প্রকাশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত সাইফুল মেম্বারকে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সাইফুল মেম্বার ঐ এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে। ঘটনার বিষয়ে সাইফুল মেম্বার রামু থানা মামলা দায়ের করে এখন বেকায়দায় পড়ে গেছে। সন্ত্রাসীরা তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হুুমকি দিচ্ছে। ছিনতাইকারীর গডফাদার সন্ত্রাসী রাসেল প্রকাশ্যে বলেন মামলা তোলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। বাচঁতে চাইলে মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করে নাও।

সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রাণ নাশের হুুমকিতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি বর্তমানে  নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি সমাজের সন্ত্রাসী, চুরি,ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান।

উল্লেখ্য বিগত এক মাস আগে স্থানীয় নুরুল আমিনের একটি স্মার্ট ফোন ছিনতাই হয়। এ ঘটনায় নুরুল আমিন উত্তর পাড়ার মৃত আবুল কালামের পুত্র সন্ত্রাসী রাসেলের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে শালিস বিচার দায়ের করে। এতে মেম্বার সাইফুলের ইন্ধন আছে এই অজুহাত তুলে সন্ত্রাসী রাসেল, নুরুল আলম, মিজান, গিয়াস উদ্দিন ও তাজউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী মেম্বার সাইফুলের উপর ন্যাক্কার জনক এ হামলা চালালে তিনি গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয় নজরুল,সাবেক মেম্বার মোঃ হোসেন জানান, একজন জনপ্রতিনিধির উপর হামলার নিন্দা জানান এলাকাবাসী।

আহত সাইফুল জানান, রাসেল একজন ছিনতাইকারী, দখলবাজ ও সন্ত্রাসী  সে এলাকার প্রায় বিশজনের সামাজিক বনায়নের প্লট অস্ত্রের জোরে দল বল নিয়ে দখল করেছে। এসবের প্রতিবাদ করায় গতকাল সন্ধ্যায় ও পাঁচদিন আগে মোবাইল ফোনে পৃথকভাবে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। কচ্ছপিয়া ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মান্নান জানান, আহত সাইফুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা। তার উপর এরকম হামলা সত্যিই নিন্দনীয়। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত আটকের দাবি জানান। এ ঘটনায় পুরো কচ্ছপিয়ায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।