সংবাদদাতা:

কক্সবাজারে হারুনুর রশিদ নামের সত্তোর্ধ বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে জেলা আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন আহত ব্যক্তি। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত ব্যক্তির বড় ছেলে সিকান্দার আবু জাফর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন বলে জানান ওসি (তদন্ত)। উক্ত এজাহারে অভিযুক্ত হচ্ছেন খোরশেদ আলম কুতুবীসহ অজ্ঞাত আরো ৩ জন। ঘটনায় আহত ব্যক্তি শহরের সমিতিপাড়া এলাকার মৃত জিন্নাত আলীর পুত্র ও স্ক্র্যাব ব্যবসায়ী।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, শামসুল আলম কুতুবীর বাড়ির পরিত্যক্ত একটি টিনশেড রুম চুক্তির মাধ্যমে ভাঙ্গার জন্য মোহাজের পাড়া যান বৃদ্ধ হারুন মাঝি। লেবারসহ গতকাল বিকালে উক্ত বাড়ির সামনে বৃদ্ধ উপস্থিত হলে হঠাৎ অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে অর্তকিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে আওয়ামী লীগ নেতা। এ সময় বৃদ্ধার কাছে থাকা নগদ ১লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেন উক্ত ব্যাক্তি। শামশুল আলম কুতুবী জানান, আমার বাড়ির পরিত্যক্ত একটি টিনশেড রুম ভাঙ্গার জন্য চুক্তি করতে আসেন বৃদ্ধ হারুন মাঝি। এসময় বাড়ির সামনে বৃদ্ধ হারুনকে দেখে মদ্যপ অবস্থায় হঠাৎ অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে অর্তকিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে খুরশেদ। এ ছাড়া খোরশেদ কুতুবী একজন মাদকসেবী। তার অত্যাচারে আমার পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসী অতিষ্ট। আহত বৃদ্ধ হারুন মাঝি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে আমার উপর অর্তকিত হামলা চালায় খুরশেদ কুতুবী। তার হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্রের বাট দিয়ে এলো পাতাড়ি আঘাত করে। এ সময় আমার সাথে থাকা নগদ ১লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসব বিষয় নিয়ে কারো কাছে বললে গুলি করে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বীরদর্পে চলে যায় উক্ত ব্যক্তি। এ ব্যাপারে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদরে সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) খাইরুজ্জামান জানান, ঘটনার বিষয়ে আহতের ছেলে এজাহার দায়ের করেছেন। উক্ত এজাহার তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।