প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সরকারি যাকাত তহবিলে যাকাত প্রদানের আহবান জানিয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেছেন, যাকাত ইসালমের পাচঁটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যমত। ইসলামের বিধান অনুযায়ী ধনীদের যাকাত আদায় করা ফরজ। পবিত্র কুরআনুল করীমে মহান আল্লাহতালা সালাত আদায়ের পাশাপাশি যাকাত আদায়ের জোর তাগিদ দিয়েছেন বস্তুত যাকাত কোন অনুদান নয় বরং এটি গরীবের হক এবং আবশ্যকীয় এবাদত। যাকাতের উদ্দেশ্য হচ্ছে দুস্থ গরীবদের সমাজে পূর্নবাসন করা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত জরুরী হিসাবে বিবেচিত। এ বিষয়কে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার কতৃক যাকাত বোর্ড গঠন করা হয়েছে।বর্তমানে যাকাত বোর্ডে জমাকৃত টাকায় অনেক মানবিক কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যাকাত ফান্ডে শিশু হাসপাতাল,সেলাই প্রশিক্ষণ পরিচালনা,এতিম দরিদ্র শিশুদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান,দুস্থ বিধবাদের পূর্নবাসণ,দারিদ্র বিমোচন ও স্বাবলম্বীকরণ,গৃহ নিমার্ণ ও মেরামত,মংগাপীড়িত এলাকায় কর্মসংস্থান,নুওমুসলিমদের পূর্নবাসণ,,দুস্থ ঋনগ্রস্থ ও অসহায় রোগিদের আর্থিক সহায়ত ও ত্রাণ বিতরণ ইত্যাদি। তাই তিনি বিচ্ছিন্ন ভাবে যাকাত না দিয়ে সরকারি যাকাত ফান্ডে যাকাত দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন। আর কক্সবাজার সোনালী ব্যাংক হিসাব নাম্বার ৩৩০২১৭০৫ এ যাকাতের টাকা জমা দেওয়ার জন্য আহবান জানান জেলা প্রশাসক।

এদিকে ৯ মে বেলা সাড়ে ১১ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সরকারি যাকাত তহবিলে অর্থ সংগ্রহ উব্দুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মাসুদুর রহমান মোল্লা। এ সময় তিনিবলেণ,সরকারি যাকাত ফান্ডে যাকাত দিলে সেটা রাষ্ট্রের অনুকূলে বেশি কার্যকর হয়। আর ব্যাক্তিগত ভাবে শাড়ি লুঙ্গি বা অন্যান্য জিনিস পত্র বিচ্ছিন্ন ভাবে না দিয়ে সরকারি যাকাত ফান্ডে দেওয়ার আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠন সঞ্চালন করেন কক্সবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম,আলোচনায় অংশ নেন কক্সবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক সরওয়ার আকবর, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রশিদ মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের,কক্সবাজার ইমাম সমিতির সভাপতি মৌলানা সিরাজুল ইসলাম ছিদ্দিকি প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে যাকাত ফান্ডের অর্থে পরিচালিত সেলাই প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ৯ জন শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষনার্থীকে সেলাই মেশিন প্রদান এবং ৪৮ জন ইমাম মুয়াজ্জিনকে সুদমুক্ত ঋন প্রদান করা হয়।