বার্তা পরিবেশেক :
কক্সবাজার শহরের লিংক রোড়ের বিসিক এলাকার বাসিন্দা হালিমা বেগম প্রকাশ ফেতরী ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে জালটাকা এবং মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তার সন্তানেরা ছাড়াও মেয়ের জামাতা এবং ছেলের বউয়েরা এই অপকর্মের সাথে জড়িত। বর্তমানে তার ৩ ছেলে এবং ছেলের বউ ইয়াবা সহ পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। প্রভাবশালী হালিমা বেগম ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। প্রতিবাদ করলেই তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা অথবা বাহিনীর লোকজন দিয়ে মারধর করায়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী শহরের বৈদ্যঘোনার খাজামঞ্চিল এলাকার মৃত শহরমুল্লুকের দুই ছেলে আহম্মদ ছবি ও নুরুচ্ছবি।
তাদের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, হালিমা বেগম ও তার বাহিনী দীর্ঘ দিন ধরে বৈদ্যঘোনা এলাকায় গাজা, ইয়াবা ও ফেন্সিডেল সহ জাল টাকার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। এরই মধ্যে হালিমা বেগম র‌্যাব ও পুলিশের হাতে ২ বার আটক হয়ে জেল খাটেন। তাদের এই অপকর্মে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় আহম্মদ ছবি এবং নুরুচ্ছবি সহ এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। আর তাদের এলাকা ছাড়া করেন। সেই থেকে হালিমা বেগম এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন।
বর্তমান সময়ে হারিমা বেগম শহরের লিংক রোড় বিসিক এলাকায় দ্বিতীয় স্বামী আবুল বশরকে সাথে নিয়ে অবস্থান করছেন। ওই এলাকায় তার বাহিনী জাল টাকা এবং মাদক ব্যবসা নিয়ে রীতিমত আধিপত্ত বিস্তার করছেন। তিনি মাদক ও জালটাকা নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের হাতে আটক হলেও পুনরায় একই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অপরাধ জগতে হালিমা বেগমের সাথে জড়িত রয়েছেন তার মেয়ে রোজিনা আক্তার, ছেলে এনাম মিয়া, ফজল প্রকাশ ফজু, রেজাউল করিম, মাহমুদুল করিম ও ছেলের বউ মিনু সহ বিশাল একটি সিন্ডিকেট। যারা কক্সবাজার ছাড়িয়ে চট্টগ্রামে ইয়াবা ও জাল টাকার ব্যবসা চালাচ্ছে।
অভিযোগকারীদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, গত ৩ মাস আগে উখিয়া মরিচ্যা চেক পোষ্টে ইয়াবা সহ আটক হয় তার ছেলে এনাম মিয়া। এছাড়া এনাম মিয়ার বিরুদ্ধে মিরশরাই থানায় মামলা রয়েছে যার জি-আর নং (০৫/১২/১৮)। গত ৫ মাস আগে তার ছেলে ফজল প্রকাশ ফজু চট্টগ্রামের সিটি গেইট এলাকায় ১৫ হাজার ইয়াবা সহ পুলিশের হাতে আটক হয়। তার মেয়ে মিনু আক্তারও চট্টগ্রামের সিটি গেইট এলাকায় ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় মামলা রয়েছে। যার জি-আর নং (২৮-০৯-১৮)। হালিমা বেগমের ছেলে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধেও বন্দর থানায় মামলা রয়েছে। ওই মামলার জি-আর নং-(৩৬/১২/১৮)। এছাড়া তার ছেলে মাহমুদুল করিম এলাকার চিহ্নিত গাজা ব্যবসায়ী।
বর্তমানে হালিমা বেগম শহরের বিসিক এলাকায় কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। বৈদ্যঘোনার পরে বর্তমানে ওই এলাকায় দাপটের সাথে মাদক এবং জাল টাকার ব্যবসা চালাচ্ছে তার বাহিনী। হালিমা বেগমের বাহিনীর জাল টাকা মাদক ব্যবসার কারণে ওই এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে এবং আইনশৃংখলার অবনতি হচ্ছে। তার এই অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বৈদ্যঘোনার মৃত শহর মুল্লুকের দুই ছেলে আহম্মদ ছবি ও নুরুচ্ছবি। তারা তাদের মারধর সহ ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাসানোর চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে এলাকার মাদক ও জাল টাকা বিরোধী যুব সমাজ।