সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
মহান মে দিবসে মিছিল সমাবেশে কক্সবাজার শহরের অলিগলি কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত আরো অন্তত ১০টি সংগঠন।
সংগঠনটির কক্সবাজার শহর শাখার উদ্যোগে বিশাল মিছিল শহরের বাজারঘাটা থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে শফিক সেন্টারের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
অধিকারের শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার, মিছিলের অগ্রভাগে লাল সবুজের পতাকা ও মাথায় লাল ফিত বেঁধে পুরো শহরে দাবিয়ে বেড়ায় শ্রমিকরা। সবার কণ্ঠে একটিই উচ্চারণ- ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও লড়াই করো’, ‘শ্রমিক সমাজের অধিকার দিতে হবে দিয়ে দাও।’
ফেডারেশনের কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম হাসানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসভাপতি ও কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলমগীর। প্রধান বক্তা ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম বাহাদুর।
শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক এইইউ বাহাদুরের সঞ্চালনায় সামবেশে উপস্থিত ছিলেন- এডভোকেট মোহাম্মদ আমিনুল হক, পরিবহন শ্রমিক নেতা মুহাম্মদ শাহাজান, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম রাজু, সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবুর্চি, দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ হামিদুল আজম বকুল, দর্জি ইউনিয়ন সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্লাহ, প্যাথলজি শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মোক্তার আহমেদ, শ্রমিক নেতা কামাল উদ্দিন, এম এ মাসুদ, মাওলানা সোলাইমান, আবুল মনছুর, খাইরুল বশর, আতাউর রহমান কাইছার, মুহাম্মদ আয়াছ, আবদুর রহিম, মুহাম্মদ ইসমাইল, রফিকুল ইসলাম রাজু, আবদুল গফুর প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য এবং দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।