শাহেদ মিজান, সিবিএন:

আগামী ২, ৩ ও ৪ মে তিনদিন ব্যাপী কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ২মে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈশাখী মেলার শুরু হবে। ৩ মে শুরু হবে এতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলা। কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই আসরের আয়োজন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক কমিটি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আবছার।

তিনি জানান, কক্সবাজারের এতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলার সাথে এবার নতুন সংযোজন বৈশাখী মেলা। একদিন পর ২ মে বৈশালী মেলা শুরু হবে। ৩ মে হবে বলীখেলার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন। একত্রে উভয় আয়োজন চলবে এবং ৪ মে একত্রে উভয় আয়োজনের সমাপ্ত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লকে আহবায়ক ও কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হেলাল উদ্দিন কবির’কে সদস্য সচিব করে বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো গ্রামীণ ঐতিহ্য সমুন্নত রেখে জুয়াখেলা মুক্ত দেশীয় আমেজে বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় হস্ত, কারু ও লোকজ শিল্পের স্টল থাকবে। শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্য পর্যাপ্ত নাগরদোলা, ঢোলবাজনাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকবে।

বৈশাখী মেলা ও বলী খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন- জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র মুজিবুর রহমান।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। বিশেষ অতিথি থাকবেন- সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র মুজিবুর রহমান।

আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দীন কবির জানান, বলীখেলায় বি.বাড়িয়া ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রায় ৩০০ বলী অংশ নেবে। তবে এবারের বলীখেলা অংশ নিতে পারছেন না দিদার বলী। ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠায় তাকে নিষিদ্ধ করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বরাবরের মতো এবারের বলীখেলায়ও তিন ক্যাটাগরিতে খেলা হবে। তিন ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ মিলে ছয়জনকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হবে। তার মধ্যে প্রথম ক্যাটাগরিতে পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন ট্রপির সাথে ১৫ হাজার টাকা এবং রানারআপ পুরস্কার ট্রপির সাথে ১০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার ট্র্রপির সাথে ১০ হাজার টাকা ও রানারআপ পুরস্কার ৭০০০ টাকা। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার ট্রপির সাথে ৭০০০ টাকা এবং রানারআপ পুরস্কার ট্রপির সাথে ৫০০০ টাকা।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালে শুরু হয় কক্সবাজারের ডিসি সাহেবের এই বলীখেলা। এর ধারবাহিকতায় এবার অনুষ্ঠিত হবে এতিহ্যবাহী এই উৎসবের ৫৬তম আসর।